কক্সবাজার ঈদগাঁওয়ে খাস জমিতে ‘মন্দির মালিকানা’ সাইনবোর্ড স্থাপন, স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া

সিটিজি পোস্ট প্রতিবেদক

কক্সবাজার প্রতিনিধি | সিটিজি পোস্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ২০ নভেম্বর, ২০২৫

কক্সবাজার ঈদগাঁওয়ে খাস জমিতে ‘মন্দির মালিকানা’ সাইনবোর্ড স্থাপন, স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া

কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে পরিত্যক্ত সরকারি স্থাপনার সামনে খাস জায়গায় আচমকা মন্দিরের নামে সাইনবোর্ড স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে সর্বমহলে।

সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের ঈদগাঁও বাজারের প্রধান কেন্দ্রস্থল ঈদগাঁও পাবলিক লাইব্রেরী ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সম্মুখস্থ রাস্তার পূর্ব পাশের পরিত্যক্ত সরকারী স্থাপনার আঙ্গিনার উপর বুধবার (১৯ নভেম্বর) পাশ্ববর্তী কালি মন্দির একটি ধর্মীয় উৎসবের আয়োজন করে। এ সুযোগে উক্ত আঙ্গিনা ও পশ্চিম পাশের সরকারী খাস জমির উপর পৃথক দুটি সাইনবোর্ড স্থাপন করে। যাতে উল্লেখ আছে তপশীল ভূক্ত জমি বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ, ১ম আদালত কক্সবাজার এর মোকদ্দমা নং-৩৫/৯৮ এর ০৩/১০/২০১৮ইং তারিখের রায় ডিগ্রী মূলে ঈদগাঁও সার্বজনীন কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী কালী মন্দির এই সম্পত্তির মালিক।

বাজারের ব্যবসায়ীরা ক্ষোভের সাথে জানান, সরকারী পরিত্যক্ত স্থাপনার আঙ্গিনা, পাবলিক লাইব্রেরী ও শহীদ মিনারের প্রবেশ পথের উভয় পাশের সরকারী খাস জায়গাটি যুগযুগ ধরে উপজেলার ক্ষুদ্র লাকড়ি ও কাঠ ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করে আসছেন। তা কিভাবে মন্দিরের মালিকানার রায় হল বোধগম্য হচ্ছে না। তাদের শঙ্কা হয়ত তথ্য গোপন করেছেন মন্দির কতৃপক্ষ।

তারা প্রশ্ন ২০১৮ সালে যদি আদালত এ রায় দেয় , তবে এতবছর পর কেন এ সাইনবোর্ড টাঙানো হল?

সচেতন জনগণের অভিমত আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের অস্থিরতার সুযোগে ধর্মীয় অনুভূতিকে পূজি করে মন্দির কতৃপক্ষ এ মূল্যবান জায়গাটি দখলের পাঁয়তারা করছেন। তারা অবিলম্বে উক্ত জায়গা সম্পর্কিত নথির তথ্য যাচাই পূর্বক প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি জানান।

জালালাবাদ চেয়ারম্যান আলমগীর তাজ জনি জানান,তিনিও এ সাইনবোর্ড স্থাপনের বিষয়টি জেনেছেন এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অবহিত করেছেন।

এবিষয়ে ঈদগাঁও সার্বজনীন কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী কালী মন্দি পরিচালনা কমিটির সভাপতি উত্তম রায় পুলকের সাথে কথা হলে বলেন, জায়গাটির মালিক দলিল মূলে মন্দির। পরে সরকার খাস রেকর্ড করলে মামলার রায়ের মাধ্যমে জায়গাটি মন্দিরের মালিকানায় ফিরে আসে দাবি করেন।

ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিমল চাকমা বলেন, কিভাবে এ জায়গা নিয়ে রায় হল তা জানতে ভূমি অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি ) শারমিন সোলতানার মোবাইলে বারবার কল দিলেও রিসিভ না করায় হোয়াটসঅ্যাপে টেক্স পাঠিয়েও কোন সাড়া মিলেনি এ বিষয়ে।

তবে ইউনিয়ন সহকারী ভূমিকা কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার জানান,তিনি বিষয়টি শুনেছেন এবং তাদের যে একটি রায় আছে বলে দাবি করছে তা বিস্তারিত দেখে মন্তব্য করবেন জানান।

সিটিজিপোস্ট/জাউ

ক্যাটাগরি:
কক্সবাজার