চালকের সিটে তরুণী: উড়ালসেতু থেকে ছিটকে পড়লো সদরঘাটের ব্যবসায়ী আরিফুরের গাড়ি
বেপরোয়া গতির বলি বন্দর কর্মচারী শফিক
নিজস্ব প্রতিবেদক | সিটিজি পোস্ট
প্রকাশিত হয়েছে: ২০ নভেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানাধীন নিমতলা এলাকায় এক্সপ্রেসওয়ে থেকে প্রাইভেট কার ছিটকে পড়ে প্রাণ গেল বন্দর কর্মচারী মোহাম্মদ শফিকের।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিকেল চারটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, অস্বাভাবিক গতিতে না ছুটলে এই গাড়ি এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ছিটকে পড়ার কথা না। অস্বাভাবিক গতিতে ছুটছিল গাড়িটি এবং নিয়ন্ত্রন হারানোর পর তা নিচে পড়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাড়িটির চালকের সিটে ছিলেন ২৩ বছর বয়সী এক তরুণী- সৈয়দা সমরাজ মাখনু। তিনি চাঁদগাঁওয়ের সমদ আলী খান চৌধুরী বাড়ির বাসিন্দা সৈয়দ মঞ্জুর মোর্শেদের মেয়ে।
গাড়িটি সদরঘাট পোড়া মসজিদ এলাকার বাসিন্দা বিসমিল্লাহ ট্রান্সপোর্টের স্বত্বাধিকারী আরিফুর রহমানের বলে জানা গেছে। তার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান রায়াত (১৯)ও আহতদের তালিকায় আছেন।
প্রশ্ন উঠছে, ব্যবসায়ীর মালিকানাধীন গাড়ি, কিন্তু স্টিয়ারিং কেন তরুণীর হাতে? উচ্চবিত্ত পরিবারের বেপরোয়া গাড়ি চালনার আরেকটি উদাহরণ হিসেবেই এটি দেখছেন অনেকে।
দুর্ঘটনার পর আহত সবাইকে আগ্রাবাদের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয়। নিহত শফিক ছিলেন বন্দর কর্মচারী।
এ ঘটনায় আহত অন্যরা হলেন- বিসমিল্লাহ ট্রান্সপোর্টের আরিফুর রহমানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান রায়াত (১৯), চাঁদগাঁও আবাসিক বি-ব্লক ১নং রোডের মো. ইউসা (২৩), বায়েজিদের শের্শা বাংলা বাজার এলাকার তাহসিন মোহাম্মদ তানিম (১৮)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা সরাসরি বেপরোয়া গতিকে এই মৃত্যুর জন্য দায়ী করছেন। তারা বলছেন, “ধণীর দুলালের উচ্ছৃঙ্খল গতি আরেকটি পরিবার শেষ করে দিল।”
তাদের দাবি, গাড়ির মালিক, চালক এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।
সিটিজি পোস্ট/এইচএস




