পাঁচ শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক একীভূত হচ্ছে, কর্মীরা চাকরি হারাবেন না : গভর্নর আহসান এইচ মনসুর

সিটিজি পোস্ট প্রতিবেদক

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ১৬/৬/২০২৫, ১:১৯:৪৭ PM

পাঁচ শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক একীভূত হচ্ছে, কর্মীরা চাকরি হারাবেন না : গভর্নর আহসান এইচ মনসুর

বাংলাদেশের আর্থিক খাতের সংস্কারের অংশ হিসেবে শরিয়াহভিত্তিক পাঁচটি ব্যাংককে একীভূত করার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। এই একীভূতকরণের ফলে কোনো কর্মী চাকরি হারাবেন না, এমন আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।


রবিবার (১৫ জুন) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ডরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর বলেন, “আমরা নিশ্চিত করছি—এই একীভূতকরণের ফলে কোনো ব্যাংক কর্মকর্তা বা কর্মচারী চাকরি হারাবেন না। একটি টেকসই আর্থিক কাঠামো গঠনের জন্যই এ উদ্যোগ। আশা করছি, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এটি বাস্তবায়ন হবে।”

যে পাঁচ ব্যাংক একীভূত হচ্ছে:

১. ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক
২. গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক
৩. ইউনিয়ন ব্যাংক
৪. সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল)
৫. এক্সিম ব্যাংক

এই পাঁচটি ব্যাংক ইতোমধ্যে বিভিন্ন আর্থিক দুর্বলতার মুখে রয়েছে বলে জানা গেছে। দীর্ঘদিন ধরেই ঋণ খেলাপি ও তারল্য ঘাটতির কারণে তাদের নিয়ন্ত্রণে একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছিলো বাংলাদেশ ব্যাংক।

গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, “এটা একটি চলমান আর্থিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়া। আশা করছি, নতুন সরকারও এই প্রক্রিয়াকে সমর্থন দিয়ে এগিয়ে নেবে।”

তিনি আরও জানান, একীভূত ব্যাংকগুলোকে পরিচালনার জন্য একটি একীভূত ব্যবস্থাপনা কাঠামো প্রস্তুত করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনের আরেক গুরুত্বপূর্ণ অংশে ড. মনসুর জানান, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারের জন্য দেশি আদালতের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আদালতেও মামলা করা হবে।

তিনি বলেন— “ব্রিটেনে সফরের সময় পাচার হওয়া অর্থ নিয়ে তাদের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে আন্তরিক এবং তারা চাইলে এসব ব্যক্তির সম্পদ জব্দ করতে পারবে।”

গভর্নর বলেন, “আন্তর্জাতিক আইনি পরামর্শক সংস্থাগুলো ৫০ থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে চায় পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে। উদ্ধারকৃত অর্থের ১৫–২০ শতাংশ তারা কমিশন হিসেবে পাবে, তবে তা নির্ভর করবে মোট আদায়ের পরিমাণের ওপর।”

আমাদের দল প্রস্তুত আছে,—বলেন গভর্নর।

ড. মনসুর দাবি করেন— “বাংলাদেশের কোন ব্যাংক থেকে অর্থ লুট হয়েছে সে বিষয়ে আমরা বিদেশি কর্তৃপক্ষকে তথ্য দিয়েছি। ব্রিটিশ সরকার চাইলে এসব তথ্যের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সম্পদ জব্দ করতে পারে।”

ক্যাটাগরি:
অর্থ-বাণিজ্যকভার নিউজ

অর্থ-বাণিজ্য ক্যাটাগরি থেকে আরো