দেশের ইস্পাত শিল্পে বড় ধরনের মন্দা দেখা দিয়েছে। বিক্রি কমে যাওয়ায় কারখানাগুলো উৎপাদন সক্ষমতা অনুযায়ী চালাতে পারছে না। এতে লোকসান গুনছেন শিল্প মালিকেরা।
শিল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দীর্ঘদিন ধরে সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ স্থবির হয়ে আছে। একই সঙ্গে বেসরকারি ও আবাসন খাতেও স্থবিরতা বিরাজ করছে। ফলে নির্মাণকাজে প্রধান উপকরণ রডের চাহিদা কমেছে। এতে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেলেও বাজারে রডের দাম উল্টো কমছে।
বর্তমানে ইস্পাত কারখানাগুলো সক্ষমতার তুলনায় ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ উৎপাদন করছে। এর মধ্যেই নতুন করে কাঁচামাল আমদানিতে ভ্যাট-ট্যাক্স টনপ্রতি ৯০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। ফলে মালিকদের আর্থিক চাপ বেড়েছে।
গত এক মাসে চট্টগ্রামে টনপ্রতি রডের দাম কমেছে ৫–৭ হাজার টাকা। বর্তমানে সেখানে রড বিক্রি হচ্ছে ৭৯ হাজার থেকে ৮৪ হাজার টাকায়। ঢাকায় দাম আরও কম, প্রতিটন বিক্রি হচ্ছে ৭৫ হাজার থেকে ৮২ হাজার টাকায়।
শিল্প মালিকদের দাবি, চাহিদা হ্রাস, কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি ও সরকারের মেগা প্রকল্পগুলোর ধীরগতির কারণে ইস্পাত খাত কঠিন সংকটে পড়েছে। ইতিমধ্যে আরএসআরএম, এসএস স্টিল, গোল্ডেন ইস্পাত, ইসলাম স্টিলসহ কয়েকটি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।
চট্টগ্রামের এইচএম স্টিল ও গোল্ডেন ইস্পাতের পরিচালক মোহাম্মদ সরোয়ার আলম বলেন, “বর্তমানে উৎপাদন খরচ বেড়েছে, কিন্তু রডের দাম কমে গেছে। ফলে মালিকেরা লোকসান গুনছেন।”
দেশে বিএসআরএম, একেএস, জিপিএইচ ইস্পাত, কেএসআরএমসহ বড় ইস্পাত কারখানাগুলো মোট চাহিদার প্রায় ৭০ শতাংশ রড সরবরাহ করে থাকে।