কক্সবাজারে মেহেরঘোনা রেঞ্জের ভাদিতলায় নির্বিঘ্নে চলছে পাহাড় নিধনের মহোৎসব
রাতে ডাম্পারের শব্দে ঘুম হারাম এলাকাবাসীর
কক্সবাজার প্রতিনিধি | সিটিজি পোস্ট
প্রকাশিত হয়েছে: ১২ নভেম্বর, ২০২৫

কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের মেহেরঘোনা রেঞ্জের অধীন ভাদিতলায় ডজনাধিক স্পটে চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব। মাসের পর মাস রাতের আঁধারে বনভূমির সুউচ্চ পাহাড় কেটে ফেলছে একদল সিন্ডিকেট।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রক্ষকের ভূমিকায় থাকা বন কর্মকর্তারা এখন ভক্ষকের ভূমিকা পালন করছেন।
সরেজমিনে জানা যায়, বিগত কয়েক মাস ধরে হাসিনা পাহাড়, ভগ্গুইম্মা পাড়া, পশ্চিম ও পূর্ব ভাদিতলাসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন গভীর রাতে শুরু হয় পাহাড় কাটা। দৈত্যাকার স্কেভেটরের মাধ্যমে কাটা মাটি অর্ধশতাধিক অবৈধ ডাম্পারের মাধ্যমে প্রতি লোড ২ থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে।
এসব অবৈধ লেনদেনের ভাগ পাচ্ছে বনবিভাগসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর। ফলে নির্বিঘ্নে চলছে পাহাড় নিধনের উৎসব। এতে করে বনভূমির পাহাড়গুলো পরিণত হচ্ছে বিরান ভূমিতে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাত গভীর হওয়ার সাথে সাথে এসব ডাম্পারের বেপরোয়া চলাচলে পথচারীরা পড়ছেন মৃত্যুঝুঁকিতে। হুইশেলের তীব্র শব্দে শিশু, কিশোর ও বৃদ্ধদের ঘুম ভেঙে যাচ্ছে প্রতিরাতে। এক কথায়, পাহাড় নিধনের পাশাপাশি এলাকার জনজীবনও পরিণত হয়েছে দুর্ভোগে।
অভিযোগ রয়েছে, বন কর্মকর্তারা নিয়মিত মাসোহারায় দেখেও না দেখার ভান করছেন। গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে মাঝে মাঝে ‘অভিযানের নামে’ আইওয়াশ করে দায় এড়ান তারা। স্থানীয়দের ভাষায়, কর্মকর্তারা নিয়মিত পাহাড়খেকোদের সঙ্গে ওঠাবসা করেন।
স্থানীয় সচেতন মহল ও পরিবেশবিদরা অবশিষ্ট বনভূমি ও পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে ভূমিখেকো সিন্ডিকেট ও দুর্নীতিবাজ বন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে মেহেরঘোনা বিট কর্মকর্তা ফিরোজ কবির বলেন, “আগের মতো এখন আর পাহাড় কাটা হয় না।”
অন্যদিকে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মারুফ হাসান জানান, “ইতিপূর্বে অভিযান পরিচালনা করে মামলা দেওয়া হয়েছে। দ্রুতই পাহাড়খেকোদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”




