পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস ফিরে এসেছে। আজ থেকে প্রায় ১৪৫৫ বছর আগে, ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়ালে মক্কার কুরাইশ বংশে মা আমেনার ঘরে জন্মগ্রহণ করেন ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.। বিশ্ব মুসলিম সমাজে এ দিনটি আনন্দ ও শ্রদ্ধার সঙ্গে “ঈদে মিলাদুন্নবী” হিসেবে পালিত হয়।
বাংলাদেশে দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে মাহফিল ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও চট্টগ্রামের সুন্নি সম্প্রদায়ের উদ্যোগে আয়োজিত “জশনে জুলুস” বা আনন্দ র্যালি দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে একটি ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে।
চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো জশনে জুলুস আয়োজন করা হয় ১৯৭৪ সালে। আনজুমান রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট তখন থেকে প্রতি বছর নিয়মিতভাবে এ আয়োজন করছে। র্যালি শুরু হয় শহরের কোরবানীগঞ্জের বলুয়ারদীঘি পাড়ের খানকাহ থেকে এবং শেষ হয় ষোলশহরে অবস্থিত জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা মাঠে।
চট্টগ্রাম থেকে সূচনা হলেও বর্তমানে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরেও এ আয়োজন পালিত হচ্ছে।
১৯৭৪ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত জশনে জুলুসের নেতৃত্ব দেন পাকিস্তান থেকে আগত ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব ও সুফি সাধক সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ। তিনি পাকিস্তানের প্রখ্যাত আলেম সৈয়দ আহমদ শাহ সিরিকোটি’র দ্বিতীয় পুত্র।
এরপর ১৯৮৭ সাল থেকে নেতৃত্ব গ্রহণ করেন তাঁর সন্তান সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ, আর বর্তমানে এ আয়োজনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পীর সাবের শাহ। নিয়মিতভাবেই প্রতিবছর এ র্যালি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ধীরে ধীরে চট্টগ্রামের ‘জশনে জুলুস’ শুধু বাংলাদেশের নয়, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ ইসলামী সমাবেশে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর লাখো মানুষ এতে অংশগ্রহণ করে ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক পরিবেশ সৃষ্টি করেন।
এ বছরও আয়োজন সফল করতে নগরীর প্রধান সড়ক, অলিগলি ও মোড়ে নির্মিত হচ্ছে সাময়িক গেইট, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা।
আগামী ৬ সেপ্টেম্বর শনিবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত জশনে জুলুসে অংশ নেবেন পীর সাবের শাহ এবং তাঁর দুই সন্তান মেহমুদ শাহ ও কাশেম শাহ। এছাড়া পাকিস্তান থেকে আরও তিনজন ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব যোগ দেবেন। আয়োজকরা আশা করছেন, লাখো মানুষের অংশগ্রহণে এবারের আয়োজন একটি বৃহৎ আধ্যাত্মিক সমাবেশে রূপ নেবে।
সিটিজি পোস্ট/জেউ
৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, "চোখের সুরক্ষায় রোগ প্রতিরোধই সবচেয়ে উত্তম উপায়। নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা ও স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস মেনে চললে দৃষ্টিশক্তি দীর্ঘদিন ভালো রাখা সম্ভব। আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং জীবনযাত্রায় স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। সমাজের সামর্থ্যবানরা যদি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায় তবে অনেক মানুষই এ ধরনের বিনা...
৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, "চোখের সুরক্ষায় রোগ প্রতিরোধই সবচেয়ে উত্তম উপায়। নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা ও স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস মেনে চললে দৃষ্টিশক্তি দীর্ঘদিন ভালো রাখা সম্ভব। আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং জীবনযাত্রায় স্বাস্থ্যকর অ...