বাংলাদেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্যের উপর যুক্তরাষ্ট্র পূর্ব ঘোষিত ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক (কাউন্টারভেইলিং ডিউটি) কমিয়ে ২০ শতাংশ করেছে। গত বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে এই নতুন শুল্ক হার ঘোষণা করেন।
গত কয়েক সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারকে ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের সম্ভাবনা নিয়ে চিঠি দিয়েছিল। এই সংশোধিত হার বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের জন্য কিছুটা স্বস্তি বয়ে আনলেও, বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতের জন্য চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। এই খাত বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি অংশ দখল করে আছে।
গত ২ এপ্রিল বাণিজ্য ঘাটতির অজুহাতে ট্রাম্প প্রশাসন বিভিন্ন দেশের উপর উচ্চ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিল। তবে ৯ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সাথে আলোচনার সুযোগ দিয়ে এই শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়।
শুল্ক হার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি মার্কিন বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের প্রতিযোগিতাকে প্রভাবিত করতে পারে। তৈরি পোশাক শিল্পের সাথে জড়িত উদ্যোক্তারা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও, তারা দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য চুক্তির কথা ভাবছেন।