বিএসবিওএ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ, স্বচ্ছ নির্বাচনের দাবি প্রার্থীদের
নিজস্ব প্রতিবেদক | সিটিজি পোস্ট
প্রকাশিত হয়েছে: ১৫ নভেম্বর, ২০২৫

বাংলাদেশ শিপ হ্যান্ডলিং অ্যান্ড বার্থ অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসবিওএ) ২০২৫-২০২৬ ও ২০২৬-২০২৭ সালের নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও পরিচালক পদপ্রার্থীরা। ওশেন এইড সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. এইচ. এম. মনজুর আলম সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই অভিযোগ প্রকাশ করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীরা জানান, ৫ আগস্টের হত্যা মামলার আসামিদের প্রভাব ও যোগসাজশে নির্বাচনে অনিয়মের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাদের মতে, এই পরিস্থিতি অ্যাসোসিয়েশনের স্বাভাবিক কার্যক্রমের পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম এবং দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
বিবৃতিতে আরও উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম মোমিন, পরিচালক পদপ্রার্থী আমানুল্লাহ আল ছগীর ছুটু, মশিউল আলম স্বপন, মিল্লাত হোসেন লিটন, নবাব খান, সাফায়েত হোসেন এবং মেজবাহ উদ্দিন লাভলু।
নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, গেল ১৫ বছর ধরে একটি স্বেচ্ছাচারী গোষ্ঠী ক্ষমতার প্রভাবে অ্যাসোসিয়েশনকে অনিয়ম ও দুর্নীতির কেন্দ্রে পরিণত করেছে। তাদের দাবি, এই কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান রাসেল ও তার সহযোগীরা। তারা ছাত্র হত্যা মামলার গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত বলেও উল্লেখ করেন প্রার্থীরা।
বিবৃতিতে বলা হয়, পলাতক এক কর্মকর্তাকে প্রধান করে গঠিত তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন কখনো অফিসে উপস্থিত হননি। মনোনয়ন জমাদানের দিনেও কমিশনের কোনো সদস্য ছিলেন না। একজন কর্মচারী সাতটি মনোনয়নপত্র গ্রহণ করলেও পরে সংবাদ মাধ্যমে কমিশন প্রধানের বয়ানে ১৭ জন প্রার্থীর মনোনয়ন জমার কথা প্রকাশিত হয়। প্রার্থীরা এটিকে ‘মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক’ দাবি করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, মনোনয়ন গ্রহণের পর থেকে অ্যাসোসিয়েশনের সচিব ও অন্যান্য কর্মকর্তারা অফিসে আসছেন না, যা অতীতেও দেখা যায়নি। বিদায়ী কমিটির কয়েকজন ব্যক্তি ভোটার তালিকায় বেআইনি পরিবর্তন এনেছেন বলেও অভিযোগ করেন প্রার্থীরা। তাদের মতে, নিজেদের নাম বাদ দিয়ে অন্যদের নাম যুক্ত করা গঠনতন্ত্রবিরোধী।
প্রার্থীদের আশঙ্কা, অফিসে অনুপস্থিত এই অদৃশ্য কমিশন মনোনয়ন যাচাইয়ের নামে ১২ সদস্যের ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ডামি নির্বাচন’ আয়োজন করতে পারে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সংগঠনটি D.T.O. অনুমোদিত এবং চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারকারীদের গুরুত্বপূর্ণ একটি প্ল্যাটফর্ম হওয়ায় নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপ জরুরি।
তাদের দাবি, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হলে বন্দর কার্যক্রমসহ জাতীয় অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়তে পারে।
এ বিষয়ে বিএসবিওএ নেতৃবৃন্দ জানান, স্বৈরাচারী চক্র ও বহিঃশক্তির মদদে কেউ কেউ বন্দর বন্ধের মতো চরমপন্থায় যেতে পারে, যা অতীতেও ঘটেছে। এ কারণে সব পক্ষকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তারা স্বচ্ছ নির্বাচনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।
সিটিজি পোস্ট/এইচএস




