সরকারকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগে তিন উপদেষ্টার অপসারণ দাবি জামায়াতের
নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
প্রকাশিত হয়েছে: ১৪ নভেম্বর, ২০২৫

সরকারকে ভুল তথ্য দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন থেকে দূরে সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগে অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টার অপসারণ দাবি করেছে জামায়াতে ইসলামীর
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর মগবাজারের আল ফালাহ মিলনায়তনে আন্দোলনরত আট দলের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের নায়েবে আমীর সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এ দাবি জানান।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকারের অন্তত তিনজন উপদেষ্টা একটি নির্দিষ্ট দলের স্বার্থে কাজ করছেন এবং সুকৌশলে ভুল তথ্য দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বিভ্রান্ত করছেন। তাহের বলেন, “কমপক্ষে তিনজন উপদেষ্টা ড. ইউনুসকে মিসগাইড করছেন। আমরা এ তিন উপদেষ্টার অপসারণ দাবি করছি। তাদের নাম আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠাবো।”
জামায়াত নেতার দাবি, সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার সহযোগিতায় প্রশাসনকে একটি বিশেষ দলের পক্ষে দলীয়করণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনে পরিবর্তন আনার নামে বিশেষ দলের প্রতি অনুগত ব্যক্তিদের নিয়োগের চেষ্টা চলছে এবং সৎ–দক্ষ কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে ঐকমত্য কমিশনের অনেক সুপারিশ মানা হয়নি উল্লেখ করে তাহের বলেন, বিএনপির নোট অব ডিসেন্টকে accommodate করার উদ্দেশ্যে গণভোটের প্রশ্নগুলোকে চার ভাগে বিভাজন করা হয়েছে; যা তার ভাষায় ‘জটিল, অপ্রচলিত এবং একটি দলকে বিশেষ সুবিধা দেয়।’
তবে তিনি জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য অধ্যাদেশের পরিবর্তে আদেশ জারি করায় সরকারকে সাধুবাদ জানান।
গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে অনুষ্ঠানের প্রস্তাবকে ‘খোঁড়া যুক্তি’ উল্লেখ করে তাহের বলেন, এতে গণভোটের গুরুত্ব কমে যাবে এবং সংস্কার–সংক্রান্ত মূল ইস্যু গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে।
তিনি বলেন, “জনগণের স্বার্থেই দেশের বাজেট। গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে হলে গণভোটের রায়ও প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।”
জামায়াতের শীর্ষ নেতা আরও বলেন, “আমরা আবারও পুনর্ব্যক্ত করছি—এখনও সময় আছে। প্রধান উপদেষ্টা গণভোটের তারিখ পৃথকভাবে নতুন করে ঘোষণা করবেন এবং সেই গণভোটের রায়ের ভিত্তিতেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা করবেন।”
সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত আট দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সিটিজিপোস্ট/জাউ




