এদিকে রাজনৈতিক সমীকরণে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য তৈরি হয়েছে। জামায়াতসহ ইসলামী দলগুলো এবং যেসব দল প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়, তারা আলাদা জোট গঠনের তৎপরতায় রয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের আয়োজিত সমাবেশে এসব দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও বিএনপিকে ডাকা হয়নি। কারণ, বিএনপি ‘পিআর’ নয়, বিদ্যমান সংসদীয় পদ্ধতিতেই নির্বাচনে যেতে আগ্রহী।

গত ৩০ জুন মধ্যরাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বালনের মাধ্যমে শুরু হয় কর্মসূচি। আজ সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেলে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘গণঅভ্যুত্থানে পেশাজীবীদের অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভা, যা আয়োজন করছে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি)। ভার্চুয়ালি এতে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

আগামীকাল মঙ্গলবার কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মহিলা দলের উদ্যোগে আলোচনা সভা হবে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে নারীদের অবদান’ শীর্ষক।

• ২৮ জুলাই: স্বেচ্ছাসেবক দলের ডেঙ্গু ও করোনা প্রতিরোধে পানি ও ডোবা পরিষ্কারের কর্মসূচি;
  একই দিনে ‘মায়ের ডাক’ ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর ‘গণতান্ত্রিক পথযাত্রায় শিশু’ শীর্ষক আলোচনা সভা।

• ২ আগস্ট: ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে ‘পালাব না, কোথায় পালাব? শেখ হাসিনা পালায় না’ শীর্ষক পথনাটক ও এলাকাভিত্তিক সমাবেশ (উত্তরা, রামপুরা, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী)।

• ৩ আগস্ট: ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্রসমাবেশ।

• ৪ আগস্ট: যুবদলের শহীদদের সম্মাননা প্রদান ও ‘আমার না বলা কথা’ শীর্ষক অনুষ্ঠান।

• ৬ আগস্ট: কেন্দ্রীয়ভাবে আয়োজিত ‘বিজয় মিছিল’।

এই কর্মসূচির সর্বশেষ দিন ‘বিজয় মিছিল’ উপলক্ষে ঢাকায় ব্যাপক জনসমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। তবে সেটি ঢাকাজুড়ে একাধিক মিছিল নাকি কেন্দ্রীয়ভাবে একটি মিছিল—তা এখনো নির্ধারিত হয়নি। মিছিলটি কোথা থেকে শুরু হবে এবং কোথায় শেষ হবে, তাও চূড়ান্ত হয়নি।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন—“জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান স্মরণে একটার পর একটা কর্মসূচি চলছে। সামনে আরও কর্মসূচি আছে। তারপর বিজয় মিছিলের প্রস্তুতি শুরু করব।”

দলের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল জানান, বিজয় মিছিল নিয়ে শিগগিরই প্রস্তুতি সভা হবে।“সেখানে মিছিলের রুট, সময় ও ব্যাপকতা নিয়ে বিস্তারিত সিদ্ধান্ত হবে,” বলেন তিনি।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে বিএনপি দলের সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শন এবং আগামী নির্বাচনের পূর্ববর্তী রাজনৈতিক বার্তা দিতেই মাঠে সক্রিয় হয়েছে।