চট্টগ্রাম নগরীর দুই নম্বর গেট এলাকার বিপ্লব উদ্যাণে এনসিপির (ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি) সমাবেশে স্টেজে ওঠাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে ঘটনাস্থলে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গেলে সাংবাদিকদের কাজে বাধা দেয় পুলিশ।
সাংবাদিকদের দাবি, তাদের পরিচয় থাকা সত্ত্বেও পুলিশ তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছে, যা নিয়ে সাংবাদিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এনসিপির জাতীয় যুব শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক শাহারিয়ার রিজভী খান (শুভ) ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তাওসিফ ইমরোজের গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। মূলত স্টেজে কে উঠবে- এই ইস্যু নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে উভয় পক্ষ।
ঘটনার সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে তারা মাঠে উপস্থিত হয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং কিছু সাংবাদিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে।
এ সময় সাংবাদিকরা প্রশ্ন তোলেন- সংঘর্ষ করবেন নিজেরা, আর সেটি ফুটেজে ধরা পড়লে সাংবাদিকদের উপর চড়াও হবেন কেন?
তারা বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাংবাদিকদের বাধা দেওয়ার অধিকার কারো নেই।
ঘটনায় পুলিশের রেশের মুখে পড়া দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরোর সাংবাদিক মাসুম সিটিজি পোস্টকে বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় আমার গলায় পরিচয়পত্র ছিল। কিন্তু পুলিশ আমার কোনো কথাই শুনতে চায়নি। তারা আমার গায়ে হাত তুলে এবং ধাক্কা দিয়ে মাঠ থেকে বের করে দিয়েছে। এটি অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও নিন্দনীয়।
সাংবাদিকদের অভিযোগ, পুলিশ সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্বে বাধা দিয়ে ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপি চট্টগ্রামের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) জোবাইরুল হাসান আরিফ বলেন, সমাবেশ শেষেই আমি সমাবেশস্থল ত্যাগ করি, তাই এ ব্যাপারে কিছুই জানি না।
এদিকে, সংঘর্ষের পর থেকেই এনসিপির জাতীয় যুব শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক শাহারিয়ার রিজভীর মুঠোফোন বন্ধ রয়েছে, ফলে তার পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সাংবাদিকদের কাজে পুলিশের বাধা দেওয়ার বিষয়ে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলাইমান সিটিজি পোস্টকে বলেন, এটি একটি মিস কনসেপ্ট। এখন কি সেই যুগ আছে যে পুলিশ সাংবাদিকের গায়ে হাত তুলবে? যা ঘটেছে তা নিছকই ভুল বোঝাবুঝি।
স্থানীয়দের মতে, সাম্প্রতিক সময়ের রাজনীতিতে এমন বিভক্তি এবং মিডিয়ার কার্যক্রমে পুলিশের হস্তক্ষেপ একটি নতুন বাস্তবতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
গণমাধ্যমকর্মীরা দাবি করেছেন, যেকোনো সংঘর্ষ বা উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও পেশাগত স্বাধীনতা রক্ষায় প্রশাসনের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা জরুরি।
এনসিপির পক্ষ থেকেও এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ব্যাখ্যা বা বিবৃতি দেওয়া হয়নি। সংঘর্ষের প্রকৃত কারণ ও পরবর্তী ব্যবস্থা নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এখনো বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
সিটিজিপোস্ট/এইচএস
২০ জুলাই, ২০২৫
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এক অবিস্মরণীয় অধ্যায় হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেছেন, “জুলাই শহীদরা শুধু স্মৃতির অংশ নন, তাদের রক্ত আমাদের রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা। এই শহীদরা আজীবন আমাদের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।”রবিবার (২০ জুলাই) ক...
২০ জুলাই, ২০২৫
২০ জুলাই, ২০২৫
২০ জুলাই, ২০২৫
২০ জুলাই, ২০২৫
২০ জুলাই, ২০২৫
২০ জুলাই, ২০২৫
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এক অবিস্মরণীয় অধ্যায় হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেছেন, “জুলাই শহীদরা শুধু স্মৃতির অংশ নন, ত...