পদত্যাগপত্রে টিম ডেভি বলেন, ‘তথ্যচিত্রটিতে কিছু ভুল হয়েছে। মহাপরিচালক হিসেবে এর দায়িত্ব আমাকে নিতে হবে। সব ভুল আমার।’ তিনি আরও জানান, ‘বিবিসির প্রতি জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’

ডেবোরাহ টারনেস এক বিবৃতিতে বলেন, “পদত্যাগের সিদ্ধান্তটি কঠিন হলেও এর দায়ভার চূড়ান্তভাবে আমার। সংবাদ পরিবেশনে যে ভুল হয়েছে, তার জন্য সম্পূর্ণ দায় নিচ্ছি।”

২০২৪ সালের মার্কিন নির্বাচনের আগে ২৮ অক্টোবর প্রচারিত হয় ‘প্যানোরামা: ট্রাম্প , আ সেকেন্ড চান্স?’ নামের তথ্যচিত্রটি। এতে অভিযোগ ওঠে, বিবিসি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাষণ এমনভাবে সম্পাদনা করেছে, যাতে মনে হয় তিনি ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে হামলার জন্য তাঁর সমর্থকদের উসকে দিয়েছিলেন।

টেলিগ্রাম নামের ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের ফাঁস করা একটি বিবিসির অভ্যন্তরীণ মেমোতে স্বীকার করা হয়, ট্রাম্পের বক্তব্যের দুটি অংশ সম্পাদনা করে জোড়া লাগানো হয়েছিল, যা ভুল ব্যাখ্যার জন্ম দেয়। এই ঘটনায় ট্রাম্প ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবিসিকে “শতভাগ ভুয়া সংবাদমাধ্যম” ও “প্রোপাগান্ডা মেশিন” বলে মন্তব্য করেন। তাঁর প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিটও একই অভিযোগ করেন দ্য টেলিগ্রাফ-এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে।

বিবিসির সম্পাদকীয় মানদণ্ড কমিটির সাবেক উপদেষ্টা মাইকেল প্রেসকট, যিনি ওই মেমো লিখেছিলেন, গত জুনেই পদত্যাগ করেন। তিনি ওই তথ্যচিত্রের বস্তুনিষ্ঠতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তথ্যচিত্রটি প্রযোজনা করেছিল অক্টোবর ফিল্মস লিমিটেড।

বিবিসিকে ঘিরে এই বিতর্কে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে যুক্তরাজ্যের সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও গণমাধ্যমমন্ত্রী লিসা নন্দী বলেন, “প্যানোরামা–সংক্রান্ত পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর। বিবিসির বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে একাধিক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উদ্বেগজনক অভিযোগ হলো— গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে সংবাদ পরিবেশনে নিয়মতান্ত্রিক পক্ষপাতের নজির।”

সিটিজিপোস্ট/জাউ