চট্টগ্রাম- ৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গণসংযোগকালে গুলিবিদ্ধ: নিহত ১
নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
প্রকাশিত হয়েছে: ৫ নভেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী–চান্দগাঁও–বায়েজিদ আংশিক) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এবং চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে নগরের ৩ নম্বর পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের হামজারবাগ এলাকার পূর্ব মসজিদের পাশে গণসংযোগের সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। আহত অবস্থায় তাকে নগরের এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অপরদিকে, ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন আলোচিত সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেন বাবলা। নিহত বাবলা গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন। তিনি সদ্য মনোনয়ন বঞ্চিত বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও নেতা লায়ন আসলাম চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
এর আগে চলতি বছরের মার্চ মাসের শেষের দিকে সরোয়ারকে টার্গেট করে নগরীর চন্দনপুরা এলাকায় একদল লোক গুলি চালায়। ওই ঘটনায় দুইজন নিহত হন এবং সরোয়ারসহ আরও দুইজন গুলিবিদ্ধ হন।
এই ঘটনায় কারাগারে থাকা আলোচিত সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের অনুসারীরা জড়িত ছিল বলে বিভিন্ন সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছিল। এরশাদ উল্লাহর ওপর সংঘটিত ঘটনাটিও একই চক্রের কাজ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহত বাবলা পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে পাঁচটি হত্যা মামলাসহ মোট ১৭টি মামলা রয়েছে।
সরোয়ার বাবলার আরেক সহযোগী, আলোচিত সন্ত্রাসী আলী আকবর ওরফে ‘ঢাকাইয়া আকবর’-কেও চলতি বছরের মে মাসের শেষ দিকে নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় এলোপাতাড়ি গুলি করে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা।
আকবরও সদ্য নিহত বাবলার মতো নগরীর বায়েজিদ এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তার বিরুদ্ধেও হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজিসহ ১০টি মামলা ছিল।
২০২৫ সালের ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর পর আওয়ামী লীগের প্রশ্রয়ে থাকা সন্ত্রাসীরা গা-ঢাকা দিলে চট্টগ্রামের আন্ডারগ্রাউন্ড জগতের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপের হাতে।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর চট্টগ্রামে রাজনীতিবিদদের আশ্রয় ও প্রশ্রয়ে আবারও সক্রিয় হচ্ছে সন্ত্রাসীরা। তাদের ছত্রছায়ায় চলছে দখল, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। একই সঙ্গে বেড়েছে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার।




