শনিবার (১ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

শুক্রবার রাষ্ট্রীয় ঐক্য দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বক্তৃতায় দোভাল বলেন, রাষ্ট্র গঠন ও নিরাপত্তা রক্ষায় সুশাসন অপরিহার্য। সুশাসনই একটি দেশকে তার লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে এবং সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ভূমিকা রাখে।

দোভাল বলেন, বর্তমান সময়ে শাসনব্যবস্থার অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হলো সাধারণ মানুষকে সন্তুষ্ট রাখা।

তিনি আরও বলেন, একটি দেশের শক্তি নিহিত থাকে তার শাসনব্যবস্থায় ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোয়। “সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে কাজ করে, আর জাতি গঠনের মূল কারিগর তারাই, যারা এসব প্রতিষ্ঠান তৈরি ও লালন করে,” যোগ করেন তিনি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসন মডেলের প্রশংসা করে দোভাল বলেন, “ভারত এখন এক নতুন কক্ষপথে প্রবেশ করছে—শাসন কাঠামো, সামাজিক গঠন ও বৈশ্বিক অবস্থান—সবক্ষেত্রেই পরিবর্তন আসছে।”

তিনি জানান, বর্তমান সরকার প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি রোধে কাঠামোগত পরিবর্তন এনেছে, এবং সামনে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন।

পরিবর্তনের সময়ে দৃষ্টিভঙ্গি পরিষ্কার রাখার গুরুত্ব তুলে ধরে দোভাল বলেন, “ঝড় বা প্রতিকূলতার মধ্যেও যেন কেউ লক্ষ্যচ্যুত না হয়। নিজেকে প্রস্তুত রাখতে হবে—এটাই ছিল বল্লভভাই প্যাটেলের জীবনের শিক্ষা।”

তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, স্বাধীনতার পর ৫০০-র বেশি দেশীয় রাজ্যকে একত্রিত করে ভারতের ঐক্য গড়ে তোলার কৃতিত্ব সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের। তাঁর দূরদৃষ্টিতেই ‘অল ইন্ডিয়া সার্ভিসেস’ কাঠামো গড়ে ওঠে, যা ভারতে শক্তিশালী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হয়েছে।

সুশাসনের অংশ হিসেবে দোভাল নারীর নিরাপত্তা, সমতা ও ক্ষমতায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, “নারীর ক্ষমতায়ন আধুনিক যুগের সুশাসনের অপরিহার্য শর্ত। শুধু ভালো আইন করলেই হবে না, সেগুলোর কার্যকর বাস্তবায়নও দরকার।”

এছাড়া তিনি প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান—যে প্রযুক্তি স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও জনসেবার মান বাড়ায়, একই সঙ্গে সাইবার হুমকি থেকে সমাজকে রক্ষা করে।

সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে শ্রদ্ধা জানাতে ভারত সরকার ‘রাষ্ট্রীয় ঐক্য দিবস’ চালু করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৪ সালে এ উদ্যোগের সূচনা করেন। প্রতি বছর ৩১ অক্টোবর, প্যাটেলের জন্মদিনে রাষ্ট্রীয়ভাবে দিনটি পালন করা হয়।