সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রে পাথর লুটপাট ও সরকারি জমি দখলের অভিযোগে উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিনকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার রাতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তাঁর পদ স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি হাজী আবদুল মান্নানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
দলীয় বিজ্ঞপ্তিতে সাদাপাথরের নাম সরাসরি উল্লেখ না থাকলেও চাঁদাবাজি, দখলবাজি এবং দলীয় নীতি-আদর্শবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।
সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে সরকারি প্রায় ১৫০ একর জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। প্রথম আলো গত ১৭ মার্চ ‘দখলসূত্রে সরকারি জমির মালিক বিএনপি নেতা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করলে সমালোচনা শুরু হয়। এর পরদিন স্থানীয় প্রশাসন অভিযান চালিয়ে প্রায় ৭০ একর জমি উদ্ধার করে, ১০০টি পাথর ভাঙার যন্ত্র ও ৫০টি টিনশেড ঘর উচ্ছেদ করে।
ঘটনার পর ১৯ মার্চ জেলা বিএনপি সাহাব উদ্দিনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় এবং সহসভাপতি আশিক উদ্দিনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। ১০ এপ্রিল ভোলাগঞ্জে পাথর কোয়ারি পরিদর্শন শেষে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে সাহাব উদ্দিন ও তাঁর স্বজনদের সরকারি জমি দখল ও লুটপাটে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, উপজেলা সভাপতির নেতৃত্বে এমন অপরাধ দলীয় ভাবমূর্তি ও নেতৃত্বের মর্যাদাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
পদ স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী বলেন, চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও লুটপাটে জড়িত কেউ বিএনপিতে থাকতে পারবে না। বিএনপির নাম ব্যবহার করে অপকর্ম যাতে না হয়, সে জন্য প্রশাসনকে আগেই জানানো হয়েছিল। তবে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সিটিজি পোস্ট/ এসএইচএস