অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের বাকি ‘সব উপদেষ্টাই অপদার্থ’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাজশাহী সিটির সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু।
তিনি বলেছেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ও কৃষক সার পাচ্ছে না, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ফ্যাসিস্ট সরকারের ‘সিন্ডিকেট’ ভাঙা যাচ্ছে না। সবকিছু সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।”
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নওগাঁ শহরের নওজোয়ান মাঠে বিএনপি আয়োজিত জনসভায় বক্তব্যে এসব কথা বলেন মিজানুর রহমান মিনু।
নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণে দ্রুত নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি ও ‘ফ্যাসিবাদের চক্রান্তের অপচেষ্টা’ মোকাবেলাসহ বেশ কিছু দাবিতে নওগাঁ জেলা বিএনপি এ জনসভার আয়োজন করে।
এর আগে জেলার ১৪টি ইউনিট থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা মাঠে উপস্থিত হন।
নওগাঁ জেলাবাসীর উদ্দেশে মিজানুর রহমান মেনু বলেন, “নওগাঁ হল সেই মাটি, যেখানে গত ১৭ বছর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই- সংগ্রাম হয়েছে। নওগাঁর মাটি বিএনপির ঘাঁটি, তারেক রহমানের ঘাঁটি। এই নওগাঁর মাটিতে ম্যাডাম খালেদা জিয়া ৫ দিন থেকে রাজনীতির খোঁজ নিয়েছেন। সেই জন্য আমি গর্ববোধ করি, আমার মা এখানে এসেছিলেন। তাই নওগাঁর এ সমাবেশ বাংলাদেশের মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে। তারেক রহমানের দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।”
বাংলাদেশের মাটিতে ‘খুনি হাসিনা’র স্থান কোনোদিন হবে না মন্তব্য করে মিনু।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আমরা আপনাদের সমর্থন দিয়েছিলাম। কিন্তু আপনারা জনগণের বিশ্বাস অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
“আপনারা ৩৩ জন ডিসিকে ওএসডি করেছেন। ৩৩ জন কেন, তিন হাজার ৩৩ জনকে ওএসডি করুন।”
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টকে উদ্দেশ করে মিজানুর রহমান আরো বলেন, “প্রফেসর ইউনুস, আপনি যখন নোবেল বিজয়ী হয়ে এদেশে এসেছিলেন, তখন আপনার কী হয়েছিল নিশ্চয়ই মনে আছে? কিন্তু ম্যাডাম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা আপনাকে পুষ্পস্তবক দিয়েছিলাম।”
তিনি বলেন, “ছয় মাস আগেও দেশ-বিদেশে আপনার সুনাম ছিল। কিন্তু এখন আপনার এই সুনাম আছে কিনা, যাচাই করে দেখবেন।”
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নুর সভাপতিত্বে সদস্যসচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটি সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, এ এইচ এম ওবায়দুর রহমান চন্দন, সহ-সমবায় সম্পাদক নজমুল হক সনি, নওগাঁ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম টুকু, এসএম রেজাউল ইসলাম রেজু, আমিনুল হক বেলাল, মামুনুর রহমান রিপন, শফিউল আজম রানা।
সভায় বক্তারা আরেকটি আন্দোলনের জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বলেন।
১৬ জুন, ২০২৫
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও পটিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইদ্রিস মিয়া সম্প্রতি একটি বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তার বক্তব্যের একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তাকে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে স্পষ্ট হুমকি দিতে শোনা যায়।ভিডিওটিতে ইদ্রিস মিয়াকে বলতে শোনা যায়—“ঐক্যবদ্ধ হলে প্রশ...
১৬ জুন, ২০২৫
১৬ জুন, ২০২৫
১৬ জুন, ২০২৫
১৬ জুন, ২০২৫
১৬ জুন, ২০২৫
১৬ জুন, ২০২৫
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও পটিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইদ্রিস মিয়া সম্প্রতি একটি বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তার বক্তব্যের একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তাকে প্রশাসনের কর্ম...