বিএনপির কথা শুনবে, না হয় ইউএনওগিরি-ওসিগিরি ছেড়ে চলে যেতে হবে : মো. ইদ্রিস

সিটিজি পোস্ট প্রতিবেদক

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ১৬/৬/২০২৫, ৭:৩৮:৫২ PM

বিএনপির কথা শুনবে, না হয় ইউএনওগিরি-ওসিগিরি ছেড়ে চলে যেতে হবে : মো. ইদ্রিস

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও পটিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইদ্রিস মিয়া সম্প্রতি একটি বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তার বক্তব্যের একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তাকে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে স্পষ্ট হুমকি দিতে শোনা যায়।


ভিডিওটিতে ইদ্রিস মিয়াকে বলতে শোনা যায়—“ঐক্যবদ্ধ হলে প্রশাসন বাধ্য হবে বিএনপির কথা শুনতে। হয় বিএনপির কথা শুনবে, না হয় এখান থেকে ইএনওগিরি-ওসিগিরি ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যেতে হবে। তাদের আর সুযোগ দেওয়া যাবে না, অনেক সুযোগ দিয়েছি। এখন আর সুযোগ দেওয়ার সময় নেই। এখন আমাদের দাবি আমাদের আদায় করে নিতে হবে।”

এ বক্তব্যে প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিশেষ করে ইউএনও (উপজেলা নির্বাহী অফিসার) ও ওসিদের (থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) সরাসরি হুমকির শিকার হিসেবে উপস্থাপিত হয়, যা সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি বিদ্বেষমূলক এবং দায়িত্বহীন বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বক্তৃতাকালে ইদ্রিস মিয়ার পেছনে “সাতকানিয়া সাংগঠনিক ইউনিট বিএনপি”-এর ঈদ পুনর্মিলনীর ব্যানার ঝোলানো। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বিকেলে সাতকানিয়া উপজেলার একটি কমিউনিটি হলে বিএনপির সব সাংগঠনিক ইউনিটের যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন ইদ্রিস মিয়া।

তবে, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইদ্রিস মিয়া। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন— “আমি ইউএনও-ওসিকে নিয়ে এ ধরনের কোনো বক্তব্য দেইনি। ভিডিওটি সাজানো এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে হেয় করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।”

কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, “একজন দলীয় শীর্ষ নেতার মুখে প্রশাসনের বিরুদ্ধে এমন হুমকির বক্তব্য আসা উদ্বেগজনক। তিনি চাইলে বক্তব্যের বিষয়বস্তু পরিস্কার করতে পারতেন, কিন্তু অস্বীকৃতি দিয়েই দায়িত্ব এড়ানো সম্ভব নয়।”

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি বিএনপির দক্ষিণ জেলা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার মাধ্যমে ইদ্রিস মিয়াকে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। ৬ মে পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হলে তার নেতৃত্বেই গঠিত হয় ৫৪ সদস্যের দলে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন সদস্যসচিব লায়ন হেলাল উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আব্বাস, যুগ্ম আহ্বায়ক মিসকাতুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পা, আজিজুল হক চৌধুরী, আসহাব উদ্দিন চৌধুরী, এবং দলের অন্য নেতারাও।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে সরকারি কর্মকর্তাদের সংগঠন থেকে বিষয়টি উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

এ ধরনের "উস্কানিমূলক বক্তব্যে রাজনীতির ভাষা সহিংসতায় রূপ নিতে পারে", এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন একাধিক পর্যবেক্ষক।

ক্যাটাগরি:
কভার নিউজরাজনীতিচট্টগ্রাম

কভার নিউজ ক্যাটাগরি থেকে আরো

ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুঁশিয়ারি: তেল আবিব ত্যাগের নির্দেশ

ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুঁশিয়ারি: তেল আবিব ত্যাগের নির্দেশ

১৭ জুন, ২০২৫

মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সংঘাতময় পরিস্থিতি নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের পর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের বহু এলাকায় সাইরেন বেজে উঠেছে, আর জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানের নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (IDF)।আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসর...