বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে বিএনপির প্রস্তাবে সরকার ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। নির্বাচন হবে ডিসেম্বর ও এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে, অর্থাৎ রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য একটি সমঝোতার জানালা এখন উন্মুক্ত।

বৈঠকে শুধু নির্বাচন নয়, এসেছিল ভবিষ্যৎ সরকারের রূপরেখাও

এই বৈঠককে অনেকে শুধুমাত্র নির্বাচনকেন্দ্রিক বলে মনে করলেও, বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মতে, এর চেয়েও গভীর বার্তা বহন করেছে আলোচনাটি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “আমরা স্পষ্ট করে ড. ইউনূসকে জানিয়েছি, ভবিষ্যৎ সরকার গঠনে যদি বিএনপি সুযোগ পায়, তার আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ও নেতৃত্বের প্রভাবকে আমরা কাজে লাগাতে চাই দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি ও গণতন্ত্রের পুনর্নির্মাণে। এটি কেবল কূটনৈতিক নয়, রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের দৃষ্টিকোণ থেকেও জরুরি।”

বৈঠকে বিচার প্রক্রিয়া ও মৌলিক সংস্কার দুই ধাপে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে দুই পক্ষ।

স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজউদ্দিন আহমদ বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে যতটা সম্ভব সংস্কার হবে। নির্বাচনের পর যেকোনো নির্বাচিত সরকার অবশিষ্ট সংস্কার এগিয়ে নেবে। বিচার নিয়ে আমরা আশ্বস্ত করেছি—বিএনপি এই অন্যায়ের সবচেয়ে বড় শিকার। আমরাই সবচেয়ে বেশি চাচ্ছি ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা।”

বিএনপি আগেই নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, ছাত্র উপদেষ্টা ইমরান মাহমুদুল এবং প্রযুক্তি উপদেষ্টা সালমা জাহান—এই তিনজনের পদত্যাগ দাবি করেছিল।

যদিও তারেক রহমানের বৈঠকে উপদেষ্টা খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন, তবুও বিএনপি বলছে, তারা এই দাবিতে অনড়।

হাফিজউদ্দিন বলেন, “আমরা সরকারকে স্পষ্টভাবে প্রস্তাব দিয়েছি। এখন বল সরকারের কোর্টে। তারা কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটি সময় বলবে।”

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “এই সরকার অন্তর্বর্তী হলেও নামের সাথে ‘নিরপেক্ষ’ শব্দটি রয়েছে। তাই তাদের নিরপেক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে।”