এক.
মেঘালয়,ত্রিপুরা এবং ন্যাগাল্যাণ্ডের বিধানসভার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হলো গতকাল ২রা মার্চ ২০২৩।ত্রিপুরা বিধান সভার ৬০ আসনে বিজেপি পেয়েছে ৩২টি।ত্রিপুরায় সরকার গঠনের জন্য ম্যাজিক ফিগার হচ্ছে ৩১টি আসনে জয়ী হওয়া।সুতরাং আবারও খুব সহজেই ত্রিপুরায় সরকার গঠন করতে যাচ্ছে ভারতের ক্ষমতাশীন দল মোদির বিজেপি।বিজেপির জোটসঙ্গী ইন্ডিজিয়াস পিপলস ফ্রন্ট অব ত্রিপুরা একটি আসনে জিতেছে।অন্য দিকে বাম এবং কংগ্রেস জোট ১৪টি আসনে জিতে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসতে যাচ্ছে।চমকপ্রদ খবর হচ্ছে ত্রিপুরা রাজবংশের প্রদ্যুত কিশোরের দল টিপরা মতা পার্টি পেয়েছে ১৩টি আসন!যা বিস্ময়কর ব্যাপার।মমতা ব্যানার্জীর দল তৃণমূল কংগ্রেস ত্রিপুরায় কোনো আসন পায়নি!বিজেপির বাইরে ত্রিপুরায় গান্ধীর জাতীয় কংগ্রেস, বাম এবং টিপরা মতা পার্টি যে বেশ শক্তিশালী সেটা নির্বাচনের ফলাফলে স্পষ্ট।
দুই.
মেঘালয় বিধান সভার আসন সংখ্যাও ৬০টি।আঞ্চলিক নেতা কনরাড সাংমার ন্যাশনাল পিপলস পার্টি একাই পেয়েছে ২৬টি আসন।যা গত নির্বাচনের চেয়ে অনেক বেশি। গত বিধান সভার নির্বাচনে কনরাড সাংমা বিজেপির সাথে জোট করে পিপলস পার্টির সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হন।এবারও তিনিও মুখ্যমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন।বিজেপি এখানে আসন পেয়েছে এককভাবে মাত্র দুটি।জাতীয় কংগ্রেস পাঁচটি,তৃণমূল কংগ্রেস পাঁচটি,ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক পার্টি এগারটি আসনে জিতেছে।পশ্চিম বঙ্গের মতো এখানে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল প্রভাবশালী।স্বতন্ত্র সহ নয়টি দল ৬০ আসনের বিধান সভায় প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছে।মেঘালয়ে রাজনীতিতে ভিন্ন চিন্তা দল এবং আদর্শের স্পষ্ট ছাপ রয়েছে বিধান সভার নির্বাচনের ফলাফলে।বহুত্ববাদী ভারতের বিকাশ এখানেও।
তিন.
নাগাল্যান্ডের বিধান সভায় জিতেছে বিজেপি এবং এনডিপিপি(ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পিপলস পার্টি) নেতৃত্বাধীন জোট। ৬০ আসনের বিধান সভায় ৩৭ আসন জিতে তারাই সরকার গঠন করার পথে।এছাড়াও জাতীয় কংগ্রেস সাতটি,ন্যাশনাল পিপলস পার্টি সাতটি, স্বতন্ত্র চারটি সহ নয়টি রাজনৈতিক দল মেঘালয়ের বিধান সভার মতো এখানেও প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছে।ন্যাগাল্যান্ডের রাজনীতি একক কোনো দলের নিয়ন্ত্রণে নেই যারা একাই সরকার গঠন করতে পারে।রাজ্যের মধ্যেও কিছু আঞ্চলিক দল প্রভাবশালী।ঘোষিত তিনটি বিধান সভার নির্বাচনে ত্রিপুরায় বিজেপির একক সরকার সম্ভব, ন্যাগাল্যান্ডে বিজেপি জোট ক্ষমতায় আসছে এবং মেঘালয়েও কনরাড সাংমা রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে হয়তবা দুই আসন পাওয়া বিজেপি এবং অন্যদের নিয়েই সরকার গঠন করার পথে। এই তিনটি বিধান সভার নির্বাচনের ফলাফলে একটা বিষয় খুব স্পষ্ট তা হচ্ছে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে অনৈক্য।২০২৪ সালে মোদিকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য যেসব জাতীয় ও আঞ্চলিক দল এবং নেতৃত্ব ঐক্যের কথা বলছেন তাদের আসলে সে রকম কোনো ঐক্য বাস্তবে রাজনীতির মাঠে নেই।এটা লিডারশীপ ক্রাইসিসের কারণেও হতে পারে।
ত্রিপুরা,মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ড এই তিনটি রাজ্যের বিধান সভার নির্বাচনে ‘মোদি বনাম সবাই’ এমন জোট কিন্তু হয়নি।উদাহরণ স্বরূপ ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস একটি আসনও পায়নি কিন্তু বাম-কংগ্রেস-তৃণমূল জোট হলে ভিন্ন পরিস্থিতি হতে পারতো,হয়নি!সুতরাং যা হওয়ার তাই হয়েছে। বিরোধীরা যত বিভক্ত হবে শাসক শ্রেণির ততই লাভ।
তিনটি রাজ্যের বিধান সভার নির্বাচনের ফলাফল বিরোধী রাজনৈতিক দল গুলোর জন্য একটা বিশেষ শিক্ষা,তা হলো প্রতিষ্ঠিত কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রয়োজন বৃহত্তর ঐক্য।এটা করতে না পারলে ক্ষমতার রাজনীতি ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাবে।
৫ জুন, ২০২৫
চট্টগ্রাম নগরের কোরবানির পশুর হাটে অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের অভিযোগ পেলে ইজারাদারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ। বুধবার (৪ জুন) বিকেলে নগরীর বিবিরহাট ও এক কিলোমিটার পশুর হাট পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন তিনি। সিএমপি কমিশনার বলেন, “প্রত্যেক পশুর হাটে সিএমপির পক্ষ থেকে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। বেপারি, ই...
৫ জুন, ২০২৫
৫ জুন, ২০২৫
৫ জুন, ২০২৫
৫ জুন, ২০২৫
৪ জুন, ২০২৫
৫ জুন, ২০২৫
চট্টগ্রাম নগরের কোরবানির পশুর হাটে অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের অভিযোগ পেলে ইজারাদারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ। বুধবার (৪ জুন) বিকেলে নগরীর বিবিরহাট ও এক কিলোমিটার পশুর হাট পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন তিনি। ...