বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, “সাইদুল ইসলাম সরকারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে তাঁর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দ্বিতীয় তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর নেওয়া হবে।”

সিন্ডিকেট সূত্রে জানা গেছে, সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে— শিক্ষার্থীদের কুপ্রস্তাব দেওয়া, যৌন হয়রানি, বিভাগীয় আসবাবপত্র জোরপূর্বক দখল, অফিসরুম দলীয়করণ, সহকর্মীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিদেশি স্কলারশিপে আবেদন করা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে আগে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এখন পুনরায় দ্বিতীয় তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

অভিযুক্ত শিক্ষক সাইদুল ইসলাম সরকার জানান, “আমি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানিনি। আমাকে একবার ডাকা হয়েছিল, আমি আমার বক্তব্য দিয়েছি। এরপর আর কোনো কাগজপত্র হাতে পাইনি।”

প্রসঙ্গত, সাইদুল ইসলাম সরকার আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপকমিটির সদস্য। বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান রাজনৈতিক পরিবর্তন এবং জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোরবিরোধিতার কারণে তাঁকে বিভাগীয় শিক্ষার্থীরা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। তার বিরুদ্ধে একাধিক গণমাধ্যমে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে উপ-উপাচার্যকে নিয়ে কটূক্তি করাসহ নানা বিতর্কিত ঘটনা।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিরপেক্ষ তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।