দেশে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ব্যয় বেড়েছে। সঞ্চয়ের পরিমাণ কমেছে। এতে ব্যাংকে আমানতের পরিমাণ কমে গেছে। এ ছাড়া ব্যাংকগুলোর আমানতের সুদহার মূল্যস্ফীতির চেয়ে কম। ব্যাংকের আমানতে এসবের প্রভাব পড়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে বলে জানিয়েছে মুডিস ইনভেস্টর সার্ভিস। মুডিস ইনভেস্টর সার্ভিস বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য উদ্ধৃত করে ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোয় তারল্য সংকট দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার তথ্য দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রাহকদের আমানতের পরিমাণ কমে যাওয়া এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের দেয়া অধিকাংশ সহায়তামূলক ব্যবস্থা ঠিকঠাক কাজে লাগাতে না পারার কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এতে বলা হয়, তারল্য ঘাটতির প্রভাব ব্যাংকগুলোর ঋণমানেও পড়তে পারে। এতে দেশের ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো স্বল্পমেয়াদি দায় মেটাতে সমস্যায় পড়তে পারে। ঋণমান যাচাইকারী আন্তর্জাতিক যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তাদের মধ্যে মুডিস শীর্ষস্থানীয়।
আরেকটি শীর্ষস্থানীয় ঋণমান যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান হলো ফিচ রেটিংস। ফিচও বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক সম্পর্কে তাদের মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে।
ফিচ রেটিংসের প্রতিবেদনে বলা হয়, শরিয়াহ ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত তারল্য গত বছরের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত অর্থাৎ এক বছরে কমেছে ৯৮২ কোটি টাকা। অতিরিক্ত তারল্য কমার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকেরও একই রকম তথ্য রয়েছে। ফিচের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকগুলোর স্বল্পমেয়াদি তারল্য সংকটের চ্যালেঞ্জ হিসাব করা হয় লিকুইডিটি কভারেজ রেশিও বা এলসিআর কমে যাওয়ার হিসাব ধরে। ২০২২ সালের শেষ ছয় মাসে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর এলসিআর কমে দাঁড়ায় ৮৭ দশমিক ৭ শতাংশে। ২০২১ সালের শেষে এই হার ছিল ১৮৮ দশমিক ৮।
এদিকে মুডিস বলছে, ২০২২ সালে দেশের ১০টি ইসলামী ধারার ব্যাংক আইন অনুসারে তারল্য বজায় রাখতে পেরেছিল; কিন্তু ছয় মাস পর দেখা যাচ্ছে, ১০টির মধ্যে ৪টি ব্যাংক এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়েছে। ৬টি ব্যাংক বিধি অনুসারে তারল্য বজায় রাখতে পারলেও তাদের অতিরিক্ত তারল্যের পরিমাণ ছিল কম।
দেশে শরিয়াহ ধারার ব্যাংক রয়েছে ১০টি। এগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।
সম্পদের পরিমাণ বিবেচনায় বাংলাদেশের শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকের বাজারের আকার বিশ্বে অষ্টম। এসব ব্যাংকের মোট সম্পদের পরিমাণ ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৭ কোটি টাকা।
৩ জুন, ২০২৫
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আবারও বিতর্কিতভাবে ‘কালোটাকা’ বৈধ করার সুযোগ ফিরিয়ে আনা হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনকালে জানান, নির্ধারিত হারে কর পরিশোধ করে অ্যাপার্টমেন্ট বা ভবন নির্মাণে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ করলে তার উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন না করে সেটিকে বৈধ হিসেবে গণ্য করা হবে। এই ব্যবস্থায় করদাতা আয়কর র...
২ জুন, ২০২৫
২ জুন, ২০২৫
২৮ মে, ২০২৫
২৭ মে, ২০২৫
২৬ মে, ২০২৫
৩ জুন, ২০২৫
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আবারও বিতর্কিতভাবে ‘কালোটাকা’ বৈধ করার সুযোগ ফিরিয়ে আনা হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনকালে জানান, নির্ধারিত হারে কর পরিশোধ করে অ্যাপার্টমেন্ট বা ভবন নির্মাণে অপ্রদর্শিত অর্থ বি...