হাসিনার গুলির সামনে ভয় পাইনি, ডিম ছোড়া কিছু নয়: আখতার হোসেন
নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
প্রকাশিত হয়েছে: ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেনের ওপর যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান ডিম ছোড়ার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় আখতার হোসেন বলেন, “আমরা সেই প্রজন্ম যারা হাসিনার গুলির সামনে দাঁড়াতে ভয় পাইনি। তাই কারও ছোড়া ডিমে আমাদের কিছু যায় আসে না।”
এনসিপি ডায়াসপোরা অ্যালায়েন্সের ফেসবুক পেজে প্রচারিত এক ভিডিওতে আখতার হোসেন বলেন, “এয়ারপোর্টে আওয়ামী লীগ হুংকার দিয়ে আসছিল, অশ্রাব্য গালিগালাজ করছিল, বিশেষ করে তাসনিম জারাকে উদ্দেশ্য করে। এটাই আওয়ামী লীগের চরিত্র।” নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টেও তিনি একই বিষয়ে পোস্ট দেন, যা তাঁর অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট হিসেবে নিশ্চিত হয়েছে।
ভিডিওতে আখতারকে বলতে শোনা যায়, স্বাধীনতাকামী মানুষ ও জুলাই অভ্যুত্থানের সমর্থকরা এভাবে হামলার শিকার হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তাঁর দাবি, অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনার প্রক্রিয়ায় কিছুটা অগ্রসর হয়েছে। “আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা যারা পালিয়ে এসেছে, তারা বিদেশে সন্ত্রাস চালাচ্ছে,” যোগ করেন তিনি।
দেশে এবং দেশের বাইরে আওয়ামী লীগ ও তাঁদের সহযোগীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে আখতার হোসেন বলেন, সরকারের উচিত এই সন্ত্রাসীদের ফিরিয়ে এনে জবাবদিহিতার মুখোমুখি করা। তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী হয়ে নিউইয়র্কে পৌঁছান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আখতার হোসেন বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান তাঁকে লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ করেন।
এনসিপি ডায়াসপোরা অ্যালায়েন্স এক বিবৃতিতে জানায়, এ ঘটনা শুধু রাজনৈতিক সহিংসতার বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং রাষ্ট্রের কূটনৈতিক মর্যাদা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যর্থতারও উদাহরণ। যদি সরকারি সফরসঙ্গীরা ন্যূনতম নিরাপত্তা না পান, তবে বিদেশে বাংলাদেশি কনস্যুলেট ও দূতাবাসের অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন তোলা যৌক্তিক বলে মন্তব্য করে অ্যালায়েন্স।
তাদের অভিযোগ, কনস্যুলেট ও দূতাবাস আসলে কাদের স্বার্থে কাজ করছে এবং হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কি না—সে বিষয়ে গুরুতর প্রশ্ন রয়েছে।
অ্যালায়েন্স আরও জানায়, আখতার হোসেন ও এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারার সাথে হামলার সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্যরাও উপস্থিত ছিলেন। তবে প্রধান লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল মূলত এনসিপি নেতাদের।
তাদের মতে, জুলাই বিপ্লবে যারা জীবনবাজি রেখে লড়েছিলেন, হামলাকারীদের ক্ষোভ এখনও তাদের প্রতি রয়েছে। আখতার হোসেনকে আজও সেই সংগ্রামের মূল্য দিতে হচ্ছে, যা অন্তর্বর্তী সরকারের চরম ব্যর্থতা প্রকাশ করছে।
বিবৃতিতে এনসিপি ডায়াসপোরা অ্যালায়েন্স তিনটি দাবি তোলে- বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকার ও নিউইয়র্ক শহরের সরকারি কর্তৃপক্ষ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ জানাতে হবে।নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলসহ পুরো টিমকে অবিলম্বে চাকরিচ্যুত করতে হবে এবং সফররত নেতাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
সিটিজি পোস্ট /এমসি


.png&w=3840&q=75)

