বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, "ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া নিশ্চিতভাবেই হবে, তবে এ নিয়ে আমানতকারীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই। সরকার আমানতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং সবাই তাদের টাকা ফেরত পাবেন।"
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ঘোষণা অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, "কোন ব্যাংক কার সঙ্গে একীভূত হবে, তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। এ প্রক্রিয়া চলমান এবং এতে আমানত ঝুঁকিমুক্ত থাকবে।"
একীভূতকরণ আলোচনায় থাকা পাঁচটি ব্যাংক ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন গভর্নর। তবে, এক্সিম ব্যাংক বৈঠকে উপস্থিত ছিল না কারণ একীভূতকরণে তাদের আপত্তি রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ধারাবাহিকভাবে এসব বৈঠক করছে, যাতে একীভূতকরণের জন্য কত অর্থ প্রয়োজন ও কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত তা নির্ধারণ করা যায়। খুব শিগগিরই সরকারের কাছে আর্থিক চাহিদা জানিয়ে চিঠি পাঠানো হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, অক্টোবরের মধ্যে পাঁচটি ইসলামি ব্যাংক একীভূত করার লক্ষ্য রয়েছে।
আন্তর্জাতিক নিরীক্ষা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, পাঁচ ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ উদ্বেগজনক। ইউনিয়ন ব্যাংকের ৯৭.৮০%, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকের ৯৬.৩৭%, গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংকের ৯৫%, সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংকের ৬২.৩০% এবং এক্সিম ব্যাংকের ৪৮.২০% ঋণ খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
সিটিজি পোস্ট/ এসএইচএস