সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে রায় ঘোষণার পর নগরীর দুই নম্বর গেট এলাকায় এনসিপি ও ছাত্রজনতার নেতাকর্মীরা আনন্দ প্রকাশ করেন এবং মিষ্টি বিতরণ করেন। এসময় ভারত থেকে পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত রায় কার্যকর করার দাবি জানান চট্টগ্রাম মহানগর সমন্বয়কারী সদস্য ও মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়কারী রিদুয়ান হৃদয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম মহানগর আহ্বায়ক ও এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী আরিফ মঈনুদ্দিন বলেন, “শুধু রায় নয়, শেখ হাসিনাসহ সকল আওয়ামী সন্ত্রাসী নেতার ফাঁসি কার্যকর দেখতে চাই।” একইসাথে তিনি দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি জানান।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী মীর শোয়াইব, রাফসান জানি, সদস্য আশিক, মোহাম্মদ এমদাদুল হকসহ জাতীয় নাগরিক পার্টি, জাতীয় যুবশক্তি এবং ছাত্রজনতার নেতাকর্মীরা।

এর আগে দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। একই মামলায় আসামি থেকে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী হওয়া পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল।