চবিতে রাতের আধারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানার, সামাজিক মাধ্যমে তোলপাড়
চবি প্রতিনিধি | সিটিজি পোস্ট
প্রকাশিত হয়েছে: ২ নভেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসে রাতের আঁধারে ঝুলানো হয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ব্যানার। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নীরব অবস্থানকেও দায়ী করছেন।
শনিবার (১ নভেম্বর) গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাওল হল গেট সংলগ্ন দেয়ালে সংগঠনটির নাম ও বেশ কয়েকজন নেতার ছবি সংবলিত ব্যানারটি ঝুলানো হয়।
রবিবার (২ নভেম্বর) সকালে শিক্ষার্থীদের চোখে পড়ার পরপরই ব্যানারটি সরিয়ে ফেলা হয়।
ব্যানারটিতে ফ্যাসিবাদী আমলের সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ছবি ব্যবহার করা হয়। নিচে লেখা ছিল ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ’।
এরপর ছাত্রলীগের একটি ফেসবুক পেজে ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়’ ক্যাপশন দিয়ে ওই ব্যানারের ছবি পোস্ট করা হয়। পোস্টটি ঘিরে অনলাইনে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
চাকসুর ভিপি ইব্রাহীম হোসেন রনি তার ফেসবুকে লিখেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি স্থানে রাতের আঁধারে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ব্যানার টানানো হয়েছে। তারা ভুলে গেছে, এটি শহীদ তরুয়া ও শহীদ ফরহাদের রক্তসিক্ত পবিত্র ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাস নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের কোনো ছাড় নয়।’
চাকসুর জিএস সাঈদ বিন হাবিব বলেন, ‘অভ্যুত্থানের পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রলীগের দোসর ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। অনেক নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মী এখনও ক্যাম্পাসে অবাধে বিচরণ করছে। প্রশাসনের নীরবতা এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্ম দিচ্ছে।’
একই দাবি করেন শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমানও। তিনি বলেন, ‘নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ রাতের আধারে ব্যানার টানিয়েছে। প্রশাসনের আশ্রয়ে থাকা কিছু সাবেক ছাত্রলীগার এ ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করতে অবিলম্বে সব জায়গায় সিসিটিভি স্থাপন করতে হবে।’
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত ব্যানারটি আজকের না আগের, তা নিশ্চিত নয়। তবে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, ব্যানারটি তখন আর পাইনি। হল গেটের সামনে সিসিটিভি নেই, তবুও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কে বা কারা এটি করেছে, তা জানতে তদন্ত চলছে।’
ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় চলছে। শিক্ষার্থীদের একাংশ বলছে, নিষিদ্ধ সংগঠনের এমন প্রকাশ্য কর্মকাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ও প্রশাসনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
সিটিজিপোস্ট/এমএইচডি




