হাইকোর্টে স্থগিত এস আলমের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব ত্যাগের কার্যকারিতা
নিজস্ব প্রতিবেদক | সিটিজি পোস্ট
প্রকাশিত হয়েছে: ১৬ নভেম্বর, ২০২৫

বাংলাদেশের নাগরিকত্ব স্বেচ্ছায় ত্যাগ করার পরিপ্রেক্ষিতে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে জারি করা আদেশের কার্যকারিতা আপাতত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
একইসাথে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আদালত।
রোববার (১৬ নভেম্বর) হাইকোর্ট জানতে চেয়েছেন, তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে কেন বিচারিক প্রক্রিয়ার আওতায় আনা হবে না। এ বিষয়ে মতামত দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে রুলের জবাব জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইসলামী ব্যাংকের করা একটি রিট আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী ও বিচারপতি রাজীউদ্দিন আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইসলামী ব্যাংকের আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম।
তিনি জানান, গত কয়েক বছরে ইসলামী ব্যাংক থেকে ভুয়া পরিচয়ে বিপুল অঙ্কের ঋণ গ্রহণ করে বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে এস আলমের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগ থেকে নিজেকে আড়াল করতে তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করে সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক আদালতের দারস্থ হন, যাতে ব্যাংক তার কাছ থেকে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধার করতে না পারে।
আইনজীবীর ভাষ্যমতে, সিঙ্গাপুরের নাগরিক পরিচয় ব্যবহার করে বেআইনি সম্পদ রক্ষার উদ্দেশ্যেই তিনি আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করেছেন। ইসলামী ব্যাংক এসব কার্যক্রম ঠেকাতে হাইকোর্টে রিট দাখিল করলে আদালত আদেশ ও রুল জারি করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, পতির স্বৈরাচারী সরকারের শীর্ষপর্যায়ের নির্দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে বিভিন্ন সুবিধা দিয়েছে, যা অর্থ পাচারের প্রক্রিয়া সহজ করেছে এবং জবাবদিহি এড়ানোর পথ তৈরি করেছে।
ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করার পর এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সপরিবারে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন।
২০২২ সালের ১০ অক্টোবর এস আলম, তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন এবং তিন ছেলে আহসানুল আলম, আশরাফুল আলম ও আসাদুল আলম মাহির নিজেদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট বাতিল করেন।
একই দিনে তারা বিদেশি নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশে স্থায়ী বসবাসের অনুমতিও পান। এসব সুবিধা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে প্রদান করে।




