সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকালে নৌবাহিনীর বাদকদল ঐতিহ্য অনুযায়ী ব্যান্ড পরিবেশন করে এ অভ্যর্থনা সম্পন্ন করে। স্বাগত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার মিলিটারি অ্যাটাশেসহ নৌবাহিনীর স্থানীয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশের সময় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ ‘বানৌজা ওমর ফারুক’ রুশ জাহাজটিকে অভ্যর্থনা জানায়।

চট্টগ্রামে অবস্থানকালে ‘গ্রিমিয়াশ্চি’র অধিনায়ক এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার মিলিটারি অ্যাটাশেসহ প্রতিনিধি দল কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চল, কমান্ডার বিএন ফ্লিট, এরিয়া সুপারিনটেনডেন্ট ডকইয়ার্ড এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এ ছাড়া সফরকারী জাহাজের কর্মকর্তা ও নাবিকরা বাংলাদেশ নেভাল একাডেমির রেডকিন পয়েন্টে পুষ্পস্তবক অর্পণ, নৌবাহিনীর জাহাজ ও ঘাঁটি পরিদর্শন এবং বিএন আশার আলো স্কুলসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখবেন। একই সময় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরাও রুশ জাহাজটি পরিদর্শন করবেন।

নৌবাহিনী মনে করছে, এই সফর দুই দেশের নৌবাহিনীর সদস্যদের পারস্পরিক কার্যক্রম ও পেশাগত উৎকর্ষ কাছ থেকে দেখার সুযোগ দেবে। পাশাপাশি পেশাগত জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা বিনিময় আরও সহজ হবে। এর আগে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ একাধিকবার শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে এসেছে বলেও উল্লেখ করা হয়।

সফরের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রশিক্ষণ, পারস্পরিক সহযোগিতা এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। শুভেচ্ছা সফর শেষে ‘গ্রিমিয়াশ্চি’ আগামী ২১ নভেম্বর বাংলাদেশ ত্যাগ করবে।

সিটিজিপোস্ট/এমএইচডি