সোমবার (১৭ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সদ্য পদায়ন করা ৫০ জেলা প্রশাসকসহ দেশের ৬৪ জেলার প্রশাসকদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আগামী নির্বাচন কেবল পাঁচ বছরের জন্য সরকার গঠনের নির্বাচন নয়; গণভোট যুক্ত হওয়ায় এটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ ও ভিন্নধর্মী নির্বাচন হতে যাচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, “জাতি বহু প্রহসনের নির্বাচন দেখেছে। এবার সেই স্মৃতি ছাপিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আমাদের।”

তিনি আরও বলেন, “এটা গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী নির্বাচন—এই নির্বাচন গণঅভ্যুত্থানকে পূর্ণতা দেওয়ার নির্বাচন। এখান থেকেই নির্ধারিত হবে জাতির শতাব্দীর গতিপথ।”

জেলা প্রশাসকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন,
“এই নির্বাচনে ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জাতি নবজন্ম লাভ করবে, আর জেলা প্রশাসকরা থাকবেন ধাত্রীর ভূমিকায়।”

তিনি প্রশাসকদের নির্বাচন সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সব বিষয়ে অবগত হওয়ার তাগিদ দিয়ে বলেন, “নির্বাচনকে একই সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর করতে হবে।”

এ প্রসঙ্গে তিনি বিপুল তরুণ ও নারী ভোটারদের ভোটাধিকার নিয়ে বলেন, “বহু তরুণ ও নারী আছেন, যারা ভোট দেওয়ার যোগ্য হলেও গত ১৫ বছর ধরে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি।”

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আগ্রহের বিষয়েও প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, “আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা ইতিমধ্যে গভীর উৎসাহ দেখাচ্ছেন। তারা দেখতে চান—কেমন নির্বাচন হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “এই নির্বাচনকে সার্থক করা গণঅভ্যুত্থানের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি। এই নির্বাচন একটি বিরাট অভিযান—এ অভিযানে আমাদের জিততেই হবে। স্বাধীন জাতি হিসেবে টিকে থাকতে হলে এই লড়াইয়ে জিততেই হবে।”

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব শেখ আব্দুর রশীদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং আইন উপদেষ্টা প্রফেসর আসিফ নজরুল।

অনুষ্ঠানে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক এবং বগুড়ার জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান।

 সিটিজিপোস্ট/জাউ