বড় পর্দায় সরাসরি সম্প্রচার হবে হাসিনার রায়
নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
প্রকাশিত হয়েছে: ১৬ নভেম্বর, ২০২৫

জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় আগামী সোমবার ১৭ নভেম্বর ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এই রায় সারাদেশে এবং আন্তর্জাতিকভাবে সরাসরি দেখার সুযোগ থাকবে।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বড় পর্দায় লাইভ সম্প্রচার করা হবে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যাতে সাধারণ মানুষ বিচার প্রক্রিয়া প্রত্যক্ষ করতে পারে।
১৩ নভেম্বর দুপুর ১২টা ৯ মিনিটে ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল রায়ের দিন ধার্য করেন। অন্যান্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী
রাষ্ট্রপক্ষে নেতৃত্ব দেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামিম, ফারুক আহাম্মদসহ অন্যান্য কর্মকর্তা।
২৩ অক্টোবর সমাপনী যুক্তিতর্কে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক উদাহরণ তুলে ধরে আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।
রায়ের আগে রাষ্ট্রনিযুক্ত স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী আমির হোসেন যুক্তি উপস্থাপন করেন। পরে ট্রাইব্যুনাল রায়ের তারিখ ঘোষণা করে।
মামলার তিন আসামির একজন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন। তার আইনজীবী জায়েদ বিন আমজাদ মামুনের খালাসের আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত দেবেন।
মোট ৮৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৪ জন সরাসরি সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ৩ আগস্ট এবং শেষ হয় ৮ অক্টোবর। প্রথম সাক্ষী ছিলেন খোকন চন্দ্র বর্মণ, যিনি নৃশংসতার বিবরণ তুলে ধরেন।
মামলার অভিযোগপত্রের মোট পৃষ্ঠা ৮,৭৪৭, যার মধ্যে তথ্যসূত্র: ২,০১৮ পৃষ্ঠা, জব্দ তালিকা ও দালিলিক প্রমাণ: ৪,০০৫ পৃষ্ঠা এবং শহীদদের তালিকা ও বিবরণ: ২,৭২৪ পৃষ্ঠা।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অধীন তিন আসামির বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান, মারণাস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনরত জনগণকে দমন, রংপুরে ছাত্র আবু সাঈদকে হত্যা, রাজধানীর চানখারপুলে ছয় আন্দোলনকারীকে হত্যা এবং আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর অভিযোগ।
রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বিটিভি, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বড় পর্দা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ফেসবুক পেজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষ সরাসরি বিচার দেখতে পারবেন।
সিটিজিপোস্ট/জাউ




