রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে বাড়ির ভেতরে ঢুকে স্থানীয়রা তাদের মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেন।নিহতরা হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক যোগেশ চন্দ্র রায় (৭৫) এবং তার স্ত্রী সুবর্ণা রায় (৬০)।

স্থানীয়রা জানান, সকালে বারবার ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীরা মই বেয়ে বাড়িতে প্রবেশ করেন। প্রধান ফটকের চাবি পেয়ে দরজা খুলে ভিতরে গিয়ে দেখে ডাইনিং রুমে যোগেশ চন্দ্র রায়ের এবং রান্নাঘরে সুবর্ণা রায়ের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী দীপক চন্দ্র রায় জানান, তাদের পরিবার দীর্ঘ ৪০–৫০ বছর ধরে যোগেশ চন্দ্র রায়ের বাড়ি দেখাশোনা করেন। তিনি প্রতিদিন সকালে কাজের জন্য সেখানে যান। কিন্তু আজ সকাল ৭টা পর্যন্ত ঘর থেকে কেউ বের না হওয়ায় সন্দেহ হলে ভেতরে গিয়ে দম্পতির মরদেহ দেখতে পান।

স্থানীয়দের ভাষ্য, যোগেশ চন্দ্র রায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ২০১৭ সালে অবসরে যান। তাদের দুই ছেলে বড় ছেলে শোভেন চন্দ্র রায় জয়পুরহাটে চাকরি করেন এবং ছোট ছেলে রাজেশ খান্না চন্দ্র রায় ঢাকায় পুলিশে কর্মরত। গ্রামের বাড়িতে স্বামী–স্ত্রী দু’জনই থাকতেন।

তারাগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলী হোসেন জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

তারাগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু ছাইয়ুম বলেন, প্রাথমিকভাবে দু’জনের মাথায় আঘাত করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্ত চলছে।

সিটিজিপোস্ট/জাউ