রাজধানীতে চার স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা জোরদার
নিজস্ব প্রতিবেদক | সিটিজি পোস্ট
প্রকাশিত হয়েছে: ১০ নভেম্বর, ২০২৫

রাজধানী ঢাকায় সোমবার সকালে চারটি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। ঘটনাগুলোর পর রাজধানীর সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা জোরদার করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ধর্মীয় সহাবস্থানে কোনো প্রকার বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করা হলে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করা হবে। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তঃধর্মীয় ঐক্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। রাজধানীর সব গির্জা এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ককটেল হামলার ঘটনায় ২৮ বছর বয়সী এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। প্রাথমিক তদন্তে তাকে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রেস উইং জানায়, সন্দেহভাজন ওই যুবককে কাকরাইলের সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রাল এবং সেন্ট জোসেফ স্কুল প্রাঙ্গণে সংঘটিত ককটেল বিস্ফোরণসহ একাধিক ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, মিরপুর ও ধানমণ্ডি এলাকায় এসব বিস্ফোরণ ঘটে।
মোহাম্মদপুরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং লেখক ফরহাদ মজহারের প্রতিষ্ঠান ‘প্রবর্তনা’র ভেতরে ও সামনের সড়কে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে।
মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে।
এছাড়া ধানমণ্ডি ২৭ নম্বরের মাইডাস সেন্টারের সামনে এবং ধানমণ্ডি-৯ এর ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে।
ঘটনার পর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও ডিএমপি যৌথভাবে শহরজুড়ে অভিযান শুরু করেছে বলে নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ।




