ওয়াশিংটন,নিউইয়র্ক অস্কারজয়ী হলিউড অভিনেতা ও নির্মাতা রবার্ট রেডফোর্ড মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃ/ত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।
রেডফোর্ডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সিন্ডি বার্গার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর দিয়েছে বিবিসি।
১৯৩৬ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা মনিকায় জন্মগ্রহণ করেন রেডফোর্ড জুনিয়র। তিনি আমেরিকান একাডেমি অফ ড্রামাটিকস এ পড়াশোনা শুরু করেন এবং পঞ্চাশের দশকের শেষ দিকে একাধিক টিভি শোতে অংশগ্রহণ করেন।
ষাটের দশকে তিনি ‘বেয়ারফট ইন দ্য পার্ক’ নাটকে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন, যা ১৯৬৭ সালে চলচ্চিত্রে রূপ নেয়। ১৯৭৩ সালে ‘দ্য স্টিং’ সিনেমা তাকে অস্কারের সেরা অভিনেতা মনোনয়ন এনে দেয়।
রেডফোর্ড ১৯৮০ সালে ‘ওর্ডিনারি পিপল’ নির্মাণের জন্য অস্কারের সেরা পরিচালকের পুরস্কার জয় করেন। ১৯৮৪ সালে ‘দ্য ন্যাচারাল’ এ অভিনয় করেন এবং ১৯৯৪ সালে ‘কুইজ শো’ পরিচালনায় পুনরায় অস্কারের মনোনয়ন পান।
তিনি ১৯৮৫ সালে ‘আউট অব আফ্রিকা’ সিনেমাতেও অভিনয় করেন, যা বক্স অফিসে সফল হওয়ার পাশাপাশি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসহ সাতটি বিভাগে অস্কার জিতেছিল। তার শেষ চলচ্চিত্র ছিল ‘দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য গান’, এরপর অভিনয় থেকে অবসর নেন।
রেডফোর্ড নব্বইয়ের দশকে সানড্যান্স ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন, যা সানড্যান্স ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এবং স্বাধীন চলচ্চিত্রের প্রসারের জন্য পরিচিত। এছাড়াও এটি পরিবেশগত আন্দোলন ও সচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তার ব্যক্তিগত জীবনে, ১৯৮৫ সালে তার ও ভ্যান ওয়াগেনেনের সংসার শেষ হয়। ২০০৯ সালে তিনি শিল্পী সিবিল সজাগার্সকে বিয়ে করেন।
রেডফোর্ড ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডমে ভূষিত হন, যা তিনি বারাক ওবামার কাছ থেকে গ্রহণ করেন। এছাড়া তিনি ‘ইনস্টিটিউট ফর রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট’ ও রেডফোর্ড সেন্টারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন, যা পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত কাজ করে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রবার্ট রেডফোর্ডের অবদান কেবল চলচ্চিত্র জগতে নয়, বরং সামাজিক, পরিবেশগত ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও যুগান্তকারী।