.jpg&w=3840&q=75)
সোশ্যাল মিডিয়ার ঝলমলে দুনিয়ায় তিনি পরিচিত রিপন মিয়া নামে। লক্ষ লক্ষ মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত, হাসিখুশি এক মুখ-যার সহজ-সরল জীবনযাপন মুগ্ধ করে সবাইকে। কিন্তু পর্দার আড়ালে কি সবসময় সবটা তেমনই থাকে? রিপন মিয়া.. এই নামটাই এখন জন্ম দিয়েছে এক বিশাল তোলপাড়ের।
আলোচিত এই নাটকের শুরুটা হয় গতকাল। রিপন মিয়া তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তার অভিযোগ বিনা অনুমতিতে ঢাকা থেকে আগত কিছু সাংবাদিক তার ব্যক্তিগত জীবন, তার বাড়িতে প্রবেশ করে এবং পরিবারের সদস্যদের ভিডিও ধারণ করে। তিনি জানান, এই ঘটনায় তিনি মানসিকভাবে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছেন।
তবে আজ, এটিএন বাংলায় সংবাদ প্রকাশের পর যেন সেই চেনা রিপন মিয়ার এক অচেনা দিক উন্মোচিত হলো সকলের সামনে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সহজ-সরল জীবন দেখানো এই ইনফ্লুয়েন্সারের বাস্তব জীবন যেন অন্য কথা বলছে। অভিযোগ উঠেছে, এতো আয়-রোজগার সত্ত্বেও তিনি তার পরিবারের কোনো খোঁজই নেন না!
বাবা জানালেন, একসময় ছেলেকে নিয়ে ভিডিও বানালেও এখন তিনি আর তা করেন না। রিপন মিয়া নিজে থাকেন পাকা বাড়িতে। অথচ, তার মা-বাবা, ভাই-ভাবীর ঘরের অবস্থা শোচনীয়, যা দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন যে তাদের ছেলে বা ভাই দেশের অন্যতম জনপ্রিয় একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর।
দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়ানো রিপন মিয়া কেন তার জন্মদাতা মা-বাবার সাথে থাকেন না বা কেনই বা তাদের আর্থিক সহযোগিতা করেন না,এ বিষয়ে তিনি কোনো উল্লেখযোগ্য ব্যাখ্যা দেননি।
আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো, পরিবারের সদস্যরা তার স্ত্রী ও দুই সন্তানের কথা জানালেও রিপন মিয়া সাংবাদিকদের কাছে তা সরাসরি অস্বীকার করেছেন।
মানুষের ভালোবাসা আর অর্থ... এই দুইয়ের মাঝে দাঁড়িয়ে রিপন মিয়া কি ভুলে গেলেন তার শিকড়? নাকি ব্যক্তিগত জীবনের জটিলতা তাকে বাধ্য করেছে এমনটা করতে? সোশ্যাল মিডিয়ার রঙিন দুনিয়ার আড়ালে এই যে আরেক জীবন, তার প্রকৃত সত্য কি, তা হয়তো সময় বলবে।
সিটিজিপোস্ট/ এসএইচএস