প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের

সিটিজি পোস্ট প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক | সিটিজি পোস্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ৬ নভেম্বর, ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের উদ্যোগে নগরের জলাবদ্ধতা সমস্যার উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে বলে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে চসিক থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বুধবার ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানে মেয়রের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং এ উদ্যোগ দীর্ঘমেয়াদে অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। তিনি আশ্বস্ত করেন যে, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এ বিষয়ে পূর্ণ সহযোগিতা দেওয়া হবে।

মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন জানান, ২০২৪ সালে ভারি বর্ষণে চট্টগ্রাম নগরের ৮৫টি স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলেও ২০২৫ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৩৩টিতে। এক বছরের ব্যবধানে জলাবদ্ধতাপ্রবণ এলাকা কমেছে ৫২টি। তিনি বলেন, “আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করেছি। এর ফলে নগরের জলাবদ্ধতা অর্ধেকে নেমে এসেছে।”

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) নগরের ৩৬টি খাল উদ্ধার, পরিষ্কার ও পুনঃখনন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পাশাপাশি সিটি করপোরেশন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডও পৃথক দুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তবে জলাবদ্ধতা নিরসনে বাকি ২১টি খাল খনন জরুরি বলে উল্লেখ করেন মেয়র। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ডিপিপি প্রণয়ন করে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেন।

মেয়র বলেন, “খাল-নালা পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। জনগণের আচরণগত পরিবর্তন এবং নিয়মিত পরিচর্যা অব্যাহত রাখতে সিটি করপোরেশনের জন্য প্রাথমিকভাবে ৪০০ কোটি টাকা এবং প্রতিবছর একটি বিশেষ বাজেট বরাদ্দ প্রয়োজন।” তিনি জানান, এ বরাদ্দের মাধ্যমে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার জন্য সিটি করপোরেশনের অধীনে একটি বিশেষায়িত রক্ষণাবেক্ষণ টিম গঠন সম্ভব হবে।

ফেসবুক পোস্টে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪তম কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে সহযোগিতার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জানান।

মেয়র আশা প্রকাশ করেন, সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতায় চট্টগ্রামকে একটি জলাবদ্ধতামুক্ত, আধুনিক ও বাসযোগ্য নগরীতে রূপান্তর করা সম্ভব হবে।

ক্যাটাগরি:
চট্টগ্রাম