ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেছেন, “এই হামলার চিরস্থায়ী ফল ভোগ করতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে।”
রবিবার (২২ জুন) সকালে ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালানোর পর নিজের প্রতিক্রিয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরাঘচি বলেন, “জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ হয়ে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক আইন এবং নিউক্লিয়ার নন-প্রলিফারেশন চুক্তি (NPT) লঙ্ঘন করেছে। এই আইনহীন আচরণ আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতার জন্য সরাসরি হুমকি।”
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ইরান তার সার্বভৌমত্ব, স্বার্থ এবং জনগণের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য সব ধরনের বিকল্প উন্মুক্ত রেখেছে। বিশ্বের সব রাষ্ট্রকে এই ধরনের বিপজ্জনক এবং অপরাধমূলক আচরণের বিরুদ্ধে সতর্ক হতে হবে।”
রোববার ভোরে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালায়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, “আমরা অত্যন্ত সফলভাবে মিশন সম্পন্ন করেছি। এখন সব বিমান ইরানের আকাশসীমার বাইরে ফিরে গেছে।”
হোয়াইট হাউজে প্রকাশিত এক ছবিতে দেখা যায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিচুয়েশন রুমে বসে সরাসরি হামলার পর্যবেক্ষণ করছেন। হামলায় ব্যবহার হয় বি-টু স্পিরিট স্টিলথ বোমারু বিমান ও GBU-57 বোমা, যা মাটির গভীর লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থা এই হামলাকে "জঘন্যতম" বলে আখ্যায়িত করেছে। তবে তারা দাবি করেছে, “ফোরদো কেন্দ্রে আগে থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। স্থানটি খালি করে ফেলা হয়েছিল, ফলে কোনো অপূরণীয় ক্ষতি হয়নি।”
ইরানি পার্লামেন্ট স্পিকারের উপদেষ্টা মাহদি মোহাম্মদী বলেছেন, “ফোরদোতে হামলার পরিকল্পনা আগে থেকেই আমাদের জানা ছিল। মার্কিন আগ্রাসন প্রতিহত করতে প্রস্তুতি ছিল।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিস্থিতি এখন মধ্যপ্রাচ্যের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক মোড়ে পৌঁছেছে। সামান্য ভুল পদক্ষেপও যেকোনো সময় সরাসরি যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রকে। এখন পুরো বিশ্ব তাকিয়ে আছে পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে—ইরান কি সরাসরি পাল্টা জবাব দেবে, নাকি কূটনৈতিক বা আঞ্চলিক অন্য পথ নেবে?
১৬ জুলাই, ২০২৫
গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলার ঘটনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে প্রধান উপদেষ্টা ড: মোহাম্মদ ইউনূস ফেসবুকে একটি বিবৃতি প্রদান করে। এতে বলা হয়, আজ গোপালগঞ্জে সংঘটিত সহিংসতা সম্পূর্ণ অমার্জনীয়। তরুণ নাগরিকদের একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ আয়োজন করে এবং তাদের বিপ্লবী আন্দোলনের এক বছর পূর্তি স্মরণ করা থেকে বিরত রাখার ঘটনা মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের নিকৃষ্ট উদাহরণ। ...
১৬ জুলাই, ২০২৫
১৬ জুলাই, ২০২৫
১৫ জুলাই, ২০২৫
১৫ জুলাই, ২০২৫
১৬ জুলাই, ২০২৫
গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলার ঘটনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে প্রধান উপদেষ্টা ড: মোহাম্মদ ইউনূস ফেসবুকে একটি বিবৃতি প্রদান করে। এতে বলা হয়, আজ গোপালগঞ্জে সংঘটিত সহিংসতা সম্পূর্ণ অমার্জনীয়। তরুণ নাগরিকদের একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ আয়োজন করে এবং তাদের ...