সূত্র জানায়, বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। তার পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে এবং শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলেও এখনও পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত নন। চিকিৎসকদের পরামর্শে কাতার থেকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে দেশে ফেরানোর প্রস্তুতি চলছে। আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে তার।

বিষয়টি নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় বিশেষ ব্যবস্থায় তার দেশে ফেরার প্রয়োজন রয়েছে। চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র।

খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে একটি দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দি হন এবং পরবর্তীতে কোভিড-১৯ মহামারির সময় বিশেষ বিবেচনায় মুক্তি পান। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের আদেশে তিনি পূর্ণ মুক্তি পান। এরপর থেকে তিনি লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা জটিল রোগে ভুগছেন। সবশেষ ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডন সফর করেছিলেন তিনি। এবারের চিকিৎসা সফরে দীর্ঘ ছয় বছরের বেশি সময় পর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে লন্ডনে ঈদ উদ্‌যাপন করেছেন খালেদা জিয়া।