আজ রবিবার, ১০ মহররম ১৪৪৭ হিজরি, পবিত্র আশুরা। মুসলিম উম্মাহর জন্য এটি এক মহিমান্বিত, শোকাবহ ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন। হিজরি ৬১ সনের এই দিনে কারবালার প্রান্তরে ইয়াজিদের সেনাবাহিনীর হাতে রাসুল (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) এবং তাঁর পরিবার-অনুসারীরা শহীদ হন। সেই বেদনার স্মৃতিকে কেন্দ্র করেই মুসলমানরা দিনটি গভীর শ্রদ্ধা, শোক ও আত্মোপলব্ধিতে পালন করে থাকেন।
কারবালার ঘটনা মুসলিম ইতিহাসে এক অনন্য আত্মত্যাগের প্রতীক। সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে অবিচল থাকার শিক্ষা দেয় এই দিন। দিনটি উপলক্ষে দেশজুড়ে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে এবং রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরে ব্যাপক ধর্মীয় আয়োজন হচ্ছে।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আজ নফল রোজা, দোয়া-জিকির, দান-খয়রাত, কোরআন তিলাওয়াত এবং শোক মিছিলের মাধ্যমে দিনটি পালন করছেন।
ঢাকার পুরান ঢাকার হোসাইনী দালান ইমামবাড়া থেকে আজ সকাল ১০টায় শুরু হয় তাজিয়া মিছিল। কালো পোশাক পরা হাজারো মানুষ ‘হায় হোসাইন’ ধ্বনিতে মাতম করতে করতে শোক প্রকাশ করেন।
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এক বাণীতে বলেন, “কারবালার শিক্ষা আমাদের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে সাহস ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকার প্রেরণা জোগায়।” তিনি সকলকে বেশি বেশি নেক আমল করার আহ্বান জানান।
চট্টগ্রাম মহানগরে আজ ৭টি তাজিয়া মিছিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মিছিলে যেন কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) দিয়েছে কঠোর নির্দেশনা:
পুলিশ জানিয়েছে, নিরাপত্তা নিশ্চিতে সিসিটিভির আওতায় রাখা হয়েছে মিছিলের প্রধান রুটগুলো। পাশাপাশি ছোট গলি থেকে হঠাৎ কোনো লোক দলবদ্ধভাবে যাতে মিছিলে ঢুকতে না পারে, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।