১৪ লাখ প্রবাসীর ভরসা ২৬৩ চিকিৎসক: আমিরাতে অবস্থানরত বাংলাদেশি স্বাস্থ্যসেবার চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে সেমিনার
নিজস্ব প্রতিবেদক | সিটিজি পোস্ট
প্রকাশিত হয়েছে: ২৪ নভেম্বর, ২০২৫

সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থানরত বাংলাদেশি চিকিৎসকদের অপ্রতুলতা, স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগে অনাগ্রহ এবং প্রবাসীদের মানসম্মত চিকিৎসা সেবায় নানা প্রতিবন্ধকতা নিয়ে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ দূতাবাসের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই সেমিনারে আমিরাতে কর্মরত চিকিৎসক, ফার্মাসিস্ট, হেলথ প্রফেশনাল এবং হেলথ টেকনোলজিস্টরা অংশ নেন।
সেমিনারে ‘আমিরাতে বাংলাদেশি চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পেশাদারদের সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক তথ্য-উপস্থাপনা করেন এনএমসি হাসপাতাল (ইউএই)-এর সার্জন ডা. মুস্তাফিজুর রহমান খান।
তার উপস্থাপনায় উঠে আসে আমিরাতে মাত্র ২৬৩ জন বাংলাদেশি চিকিৎসককে ভরসা করে ১৪ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি প্রবাসী স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ, দুবাই কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল রাশেদুজ্জামান, দূতাবাস কর্মকর্তা শাহনাজ পারভীন রানো, এশিয়ান হেলথ কেয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালের এমডি ড. সালাউদ্দিন আলী, ডা. মুস্তাফিজুর রহমান খান, ডা. মিসবাহ, ডা. ইফ্তিখার, ডা. রিফাতসহ আরও অনেকে।
রাষ্ট্রদূতের আন্তরিক জিজ্ঞাসায় অংশগ্রহণকারীরা আমিরাতে প্রবাসীদের স্বাস্থ্যসেবায় বিদ্যমান বিভিন্ন বাস্তব সমস্যার চিত্র তুলে ধরেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য-
১.ভিসা জটিলতা দ্রুত নিরসনের প্রয়োজন
২.ভাষাগত অদক্ষতা প্রবাসীদের চিকিৎসা গ্রহণে বড় বাধা
৩.অধিক ব্যয়ের ভয় ও চিকিৎসায় অবহেলা প্রবণতা
৪.স্বদেশী ও স্বল্পমূল্যের ঔষধের অভাব, বিদেশি ওষুধের চড়া দাম
৫.কম দামের স্বাস্থ্যবিমায় মানসম্মত চিকিৎসা না পাওয়া
৬.বাংলাদেশিদের মেডিকেল-ক্লিনিক-ফার্মেসি খাতে বিনিয়োগে অনাগ্রহ এবং দক্ষ জনশক্তির ঘাটতি
৭.সার্টিফিকেট জালিয়াতি, অসাধুদের প্রতারণা
৮.আইন কানুন সম্পর্কে অজ্ঞতা ও মানতে অনীহা
৯.মানসিকতা পরিবর্তনে অনাগ্রহের কারণে ভিসাসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক জটিলতার শিকার হওয়া
সেমিনারে বক্তারা এসব সমস্যার সমাধানে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি, বিনিয়োগ উৎসাহিত করা এবং প্রবাসীদের সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।




