চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ১১ দিন পর ৯ আগস্ট (শনিবার) সন্ধ্যায় একটি পক্ষ থানায় মামলা করেছে। বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী ও সংঘর্ষে আহত উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাসিম উদ্দিন চৌধুরী এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১২৯ জনের নাম উল্লেখ করে ১৪০-১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। সকল আসামি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদ্য সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী।
রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম ভুঁইয়া শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, তারা গোলাম আকবর খন্দকার ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. মহিউদ্দিনের কবর জেয়ারত করতে যাচ্ছিলেন। পথে তাদের পথ অবরুদ্ধ করে হামলা চালানো হয়। এতে গোলাম আকবর খন্দকারসহ ২০-২৫ জন আহত হন। মামলার বাদী নাসিম উদ্দিন চৌধুরী মারাত্মক আহত হওয়ায় হাসপাতালে থাকার কারণে মামলা দায়ের করতে দেরি হয়েছে।
অপরদিকে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী ও রাউজান পৌরসভা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মঞ্জুরুল হক দাবি করেন, তাদের পূর্বঘোষিত র্যালীতে গোলাম আকবর খন্দকার বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে এসে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। তারা নেতাকর্মীদের আহত করেছে এবং উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। তদন্ত কমিটির সম্মানার্থে তারা এখনো মামলা করেননি, তবে তদন্ত কমিটির সঙ্গে কথা বলে রবিবার মামলার প্রস্তুতি নেবেন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই বিকাল সাড়ে চারটায় রাউজান উপজেলার ছত্তার ঘাট এলাকায় বিএনপির দুই কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারীদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুইপক্ষের প্রায় ৩৫-৪০ জন আহত হন। সংঘর্ষে গোলাম আকবর খন্দকারের বহনকারী জীপ, পুলিশের একটি জীপ ভাঙচুর করা হয় এবং তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার জেরে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় এবং গিয়াস কাদের চৌধুরীর দলীয় প্রাথমিক পদসহ সব পদ স্থগিত করা হয়। ৩১ জুলাই কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আজিজুল বারী হেলালকে তদন্ত কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে উভয় পক্ষের সঙ্গে রাউজান ও নগরীতে আলাদা বৈঠক করেছে।
আরও জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর উভয় গ্রুপের মধ্যে প্রথম সংঘর্ষ ঘটে। চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের জিয়া বাজারে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীরা মিছিল করতে গেলে মোটরসাইকেল নিয়ে তাদের ওপর হামলা হয়। এতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ইউসুফ তালুকদার ও জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ছো্টন আজমসহ ১০-১৫ জন আহত হন। এরপর থেকে একাধিক সংঘর্ষ ও খুনের ঘটনা ঘটেছে।
সিটিজি পোস্ট/ এসএইচএস
১২ আগস্ট, ২০২৫
চট্টগ্রাম নগরের বন্দর থানার সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায় গভীর রাতে ঝটিকা মিছিল বের করেন নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সংঘর্ষে এক এসআই গুরুতর আহত হন।ঘটনাটি ঘটে সোমবার (১১ আগস্ট) রাত ২টার দিকে। আহত এসআই আবু সাঈদ রানাকে মাথা ও হাতে গুরুতর জখম অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীর...
১২ আগস্ট, ২০২৫
১২ আগস্ট, ২০২৫
১১ আগস্ট, ২০২৫
১১ আগস্ট, ২০২৫
১১ আগস্ট, ২০২৫
১২ আগস্ট, ২০২৫
চট্টগ্রাম নগরের বন্দর থানার সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায় গভীর রাতে ঝটিকা মিছিল বের করেন নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সংঘর্ষে এক এসআই গুরুতর আহত হন।ঘটনাটি ঘটে সোমবার (১১ আগস্ট) রাত ২টার দিকে। আহত এসআই আবু সাঈদ রানাকে মাথা ...