বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাধারণত বড় ধরনের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বিদেশি বিনিয়োগে হ্রাস দেখা যায়, কিন্তু বাংলাদেশ এই ধারায় ব্যতিক্রম হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

বিশ্বব্যাংকের ডাটা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের যেসব দেশে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, সেখানে পরবর্তী বছরের এফডিআই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। উদাহরণস্বরূপ—শ্রীলঙ্কায় (২০২২ সালের পর) কমেছে ১৯.৪৯%, চিলিতে (২০১৯ সালের পর) ২৫.৬৮%, সুদানে (২০২১ সালের পর) ২৭.৬০%, ইউক্রেনে (২০১৪ সালের পর) ৬১.২১%, মিশরে (২০১১ সালের পর) ১০৭.৫৫% এবং ইন্দোনেশিয়ায় (১৯৯৮ সালের পর) ১৬১.৪৯%।

বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী সোমবার বলেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গুণ হলো শত প্রতিকূলতার মধ্যেও ফিরে আসার ক্ষমতা। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সাধারণত বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, কিন্তু আমরা উল্টো প্রবণতা দেখছি।”

তিনি আরও বলেন, “সঠিক অর্থনৈতিক নীতি প্রণয়ন থেকে শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার আন্তরিকতা, বেসরকারি খাতের অদম্য প্রচেষ্টা—সব মিলিয়ে এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যদিও সব সমস্যার সমাধান হয়নি, তবে সদিচ্ছার কোনো ঘাটতি ছিল না।”

বিডা চেয়ারম্যান জানান, শিগগিরই সংস্থাটি সারা বছরের অর্জন ও কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে একটি আমলনামা (রিপোর্ট কার্ড) প্রকাশ করবে।

সিটিজিপোস্ট/জাউ