পুরুষ শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে ঢাবি শিক্ষক আটক
নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
প্রকাশিত হয়েছে: ১৪ নভেম্বর, ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. এরশাদ হালিমকে পুরুষ শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে আটক করেছে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে রাজধানীর শেওরাপাড়ায় তাঁর বাসা থেকে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ তাঁকে আটক করে। বর্তমানে থানায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ঢাবির প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের জানান, তদন্তের স্বার্থে অধ্যাপক এরশাদ হালিমকে থানায় নেওয়া হয়েছে। যেহেতু তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছিলেন না, তাই এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আলাদা অনুমতির প্রয়োজন হয়নি। তবে প্রশাসন বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছে বলে জানান তিনি।
এর আগে ঢাবির রসায়ন বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের একাধিক শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে এক সংবাদ সম্মেলন করে ড. এরশাদ হালিমের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে পুরুষ শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন। এছাড়া এ কে এম সুমন নামে রসায়ন বিভাগের এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে পরিচয় গোপন রেখে দুইজন অভিযোগকারীর বক্তব্য প্রকাশ করেন।
অভিযোগকারীদের দাবি, অধ্যাপক এরশাদ হালিম বিভিন্ন অজুহাতে বাসায় ডেকে নিয়ে রুমের আলো নিভিয়ে দরজা-জানালা বন্ধ করে শারীরিক স্পর্শ দাবি করা, স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেওয়া এবং আক্রমণাত্মক আচরণের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত শারীরিক যোগাযোগের চেষ্টা করতেন।
একজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, পরীক্ষায় সহায়তার আশ্বাস দিয়ে তাঁকে বাসায় ডেকে নেওয়ার পর শারীরিকভাবে অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করা হয় এবং বিষয়টি গোপন রাখার জন্য ভয়ভীতি দেখানো হয়, যা তাঁকে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে দেয়।
আরেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, পরীক্ষাসংক্রান্ত সহায়তার কথা বলে কয়েক দফায় বাসায় ডেকে একান্তে পেয়ে অবাঞ্ছিত শারীরিক স্পর্শের চেষ্টা করা হয়। বাধা দিলে তিনি বিরূপ আচরণের সম্মুখীন হন বলে দাবি করেন। ঘটনার পর নিয়মিত ক্লাসে অংশ নিতেও অসুবিধা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
একাধিক শিক্ষার্থীর অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ জানায়, অভিযোগের সত্যতা যাচাই এবং প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান।
সিটিজিপোস্ট/জাউ




