বিএসবিওএ নির্বাচনে বিধিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রার্থিতা বাতিলের দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক | সিটিজি পোস্ট
প্রকাশিত হয়েছে: ১৭ নভেম্বর, ২০২৫

বিএসবিওএ এর ২০২৫-২৬ ও ২০২৬-২৭ মেয়াদের চেয়ারম্যান, ১ম ভাইস চেয়ারম্যান, ২য় ভাইস চেয়ারম্যান ও পরিচালক পদে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থিতা বাতিলের দাবি উঠেছে। রোববার (১৬ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনারের কাছে দেওয়া একটি লিখিত অভিযোগপত্রে এ তথ্য জানানো হয়।
নির্বাচন কমিশনার বরাবর দাখিল করা অভিযোগে বলা হয়েছে, কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বিধিমালা উপেক্ষা করে অন্য ব্যক্তিকে প্রার্থী করে নির্বাচন করার চেষ্টা করছে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচন বোর্ডের ঘোষণামতে আগামী ২০ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংগঠনটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য সংগঠন আইন ২০২২ এবং ওই আইনের ৩০ ধারায় প্রণীত বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা ২০২৫ অনুযায়ী পরিচালিত। এর অংশ হিসেবে গত ২৯ সেপ্টেম্বর নির্বাচন বোর্ড বিএসবিওএ/এফইএম/১০১/২০২৫/০৬২ নং সূত্রে সদস্যদের উদ্দেশে একটি পরিপত্র জারি করে। পরিপত্রের ১৩ নম্বর দফায় বলা আছে, নির্বাহী কমিটিতে কোনো ব্যক্তি পরপর দুই মেয়াদের দায়িত্ব পালনের পর অন্তত একটি নির্বাচন অংশগ্রহণ না করে আবার প্রার্থী হতে পারবেন না। এটি বিধিমালা ২০২৫ এর ১৮ (৪) অনুযায়ী সঠিক।
প্রেস্টিজ কর্পোরেশনের পক্ষে সদস্য নং–২১ রফিকুল ইসলাম মোমিন বিএসবিওএ এর নির্বাচন কমিশনার বরাবর এ লিখিত অভিযোগটি দাখিল করেন।
অভিযোগকারীর দাবি, বিএসবিওএ তে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মাত্র একজন ব্যক্তি ভোট ও প্রার্থিতার অধিকার রাখেন। আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য ছিল কোনো প্রতিষ্ঠান যাতে সংগঠনটিকে কুক্ষিগত করতে না পারে। কিন্তু কিছু প্রতিষ্ঠান আগের মেয়াদে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির পরিবর্তে নতুন ব্যক্তিকে দাঁড় করিয়ে আইনের অপব্যাখ্যার মাধ্যমে প্রার্থী করার চেষ্টা করছে।
অভিযোগপত্রে যেসব প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে—
১) গ্রিন এন্টারপ্রাইজ: পূর্বে দায়িত্বে ছিলেন শামসুজ্জামান রাসেল (২০২৩-২৫), এবার প্রার্থী করা হয়েছে কামরুজ্জামান লিটন
২) এন. সি. এন ট্রেডার্স: আগে ছিলেন জসিমউদ্দিন ভূইয়া, এবার প্রার্থী আজিজুল হক
৩) সি. এন্টারপ্রাইজ: পূর্বে ছিলেন জানে আলম, এখন প্রার্থী মো. হরমুজ শাহ বেলাল
৪) এন. এস. এ সার্ভিসেস: আগে ছিলেন মো. দস্তগীর, এবার প্রার্থী মজিবুল বশর
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, এভাবে পাঁয়তারা করলে ঐতিহ্যবাহী সংগঠনটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
অভিযোগকারী রফিকুল ইসলাম মোমিন নির্বাচন বোর্ডের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন, উল্লিখিত অভিযোগ বিবেচনা করে বিধি অনুযায়ী প্রার্থিতা বাতিল এবং শান্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
সিটিজি পোস্ট/এইচএস




