চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আমি শুরু থেকেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছি চট্টগ্রামকে একটি ক্লিন সিটি, গ্রিন সিটি, হেলদি সিটি এবং সেফ স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তুলব। নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ইতোমধ্যে প্রায় ৫০-৬০ শতাংশ অগ্রগতি অর্জন করেছি। এখন আমাদের মূল ফোকাস ভাঙা সড়কগুলো সংস্কার ও নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নগরীর ২নং গেইটস্থ বিপ্লব উদ্যানে সবুজায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বিপ্লব উদ্যান একটি ঐতিহাসিক স্থান। এখানেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। তাই এ মাঠে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা হবে না। এটিকে রমনা পার্কের আদলে একটি নির্মল সবুজ পার্ক হিসেবে সাজানো হবে, যেখানে শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ অবসর সময় কাটাতে পারবেন। পাশাপাশি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা ডিজিটাল আকারে সংরক্ষণ করা হবে, যাতে নতুন প্রজন্ম ইতিহাস জানতে পারে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, এই উদ্যানে উন্নয়ন কাজে কোনো ধরনের বাধা দেওয়া হলে তা জনগণের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত হবে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম শহরে প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহার অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। এতে পরিবেশ দূষণ ও কর্ণফুলি নদী মারাত্মকভাবে ক্ষতি হচ্ছে। এ সমস্যা মোকাবিলায় ডোর-টু-ডোর বর্জ্য সংগ্রহ প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। তবে জনগণের অনীহা ও অভিযোগের কারণে তা পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজি হলে প্রকল্প আবারও চালু করা হবে।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট সমাধানে নতুন ল্যান্ডফিল্ড ক্রয়ের জন্য ফাইল প্রক্রিয়াধীন আছে। বিষয়টি দ্রুত অনুমোদন না হলে নগরবাসী ভোগান্তিতে পড়বে। তাই আমলাদের ও সরকারের উচিত একে জরুরি ভিত্তিতে বিবেচনা করা। চট্টগ্রামে এখনো বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় টেকসই সমাধান হয়নি। বিদেশি কোম্পানিগুলো ওয়েস্ট-টু-এনার্জি প্রকল্পের প্রস্তাব দিলেও মন্ত্রণালয়ের দীর্ঘসূত্রিতার কারণে তা বাস্তবায়ন হয়নি। অথচ এ প্রকল্প হলে ময়লা থেকে বিদ্যুৎ, সার ও অন্যান্য সম্পদ উৎপাদন সম্ভব হতো।
চট্টগ্রামের উন্নয়ন প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, নগর সরকারের গুরুত্ব অপরিসীম। নগর সরকারের কোনো বিকল্প নেই। একটি সিটি গভর্নমেন্টের অধীনে সব সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান কাজ করলে পরিকল্পিত উন্নয়ন সম্ভব। আমরা চাই নাগরিকদের মৌলিক সেবা নিশ্চিত করে একটি আধুনিক ও টেকসই চট্টগ্রাম গড়ে তুলতে। নগর সরকার থাকলে পরিকল্পিত নগরায়ন, টেকসই উন্নয়ন ও নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা সহজ হবে।
সিটিজিপোস্ট/জাউ
৮ অক্টোবর, ২০২৫
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে আট দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মনোনীত প্যানেল। বুধবার (৮ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে বিকাল সাড়ে তিনটায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই ইশতেহার ঘোষণা করে প্যানেলটি।উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত ইশতেহার পাঠ করেন প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী সাজ্জাদ হো...
৮ অক্টোবর, ২০২৫
৭ অক্টোবর, ২০২৫
৭ অক্টোবর, ২০২৫
৬ অক্টোবর, ২০২৫
৮ অক্টোবর, ২০২৫
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে আট দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মনোনীত প্যানেল। বুধবার (৮ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে বিকাল সাড়ে তিনটায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই ইশতেহার ঘোষণা করে ...