স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপি দক্ষিণ জেলার সদস্য এস এম ফারুকের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল কর্ণফুলি এন্টারপ্রাইজের কৈয়গ্রাম বালির সেলস সেন্টারে হামলা চালায়। এ সময় তারা বিদ্যুৎ সংযোগ ও সিসি ক্যামেরার লাইন বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে সেলস সেন্টারের দরজায় তালা মেরে দেয়।

এই বিষয়ে মেসার্স কর্ণফুলি এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও স্থানীয় বিএনপি নেতা মুবিনুল রশিদ চৌধুরী বলেন, “আমাদের কোম্পানি বৈধভাবে বালির মহাল ইজারা নিয়ে বালি সংগ্রহ করে তা সেলস সেন্টারের মাধ্যমে বিক্রি করে আসছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে এস এম ফারুক নিজেকে বিএনপি দক্ষিণ জেলার সদস্য হিসেবে ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব লায়ন হেলালের নাম ব্যবহার করে আমাদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে আসছে।

তিনি আরও জানান, চাঁদা না দেওয়ায় এস এম ফারুকের নেতৃত্বে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, একাধিক মামলার আসামি মোহাম্মদ ফোরকান, হাফিজুর রহমান লিটন, শাখাওয়াত হোসেন মিশুসহ ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী আমাদের সেলস সেন্টারে হামলা চালিয়ে সবকিছু ভেঙে ফেলে ও সেন্টারে তালা লাগিয়ে দেয়।

"এ বিষয়ে অভিযোগ করলে বা মামলা করলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে"- এমনও হুমকি দেন বলে জানান কর্ণফুলি এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুবিনুল রশিদ চৌধুরী।

এলাকাবাসী এবং রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টদের দাবি এস এম ফারুক বিএনপি দক্ষিণ জেলার সদস্য সচিব লায়ন হেলালের অনুসারী।

এ ঘটনায় কর্ণফুলি এন্টারপ্রাইজের এমডি মুবিনুল রশিদ চৌধুরী স্থানীয় আর্মি ক্যাম্প ও কর্ণফুলি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

তবে এ বিষয়ে জানতে কর্ণফুলি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শরিফের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে হামলা ও মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোন প্রশ্নের উওর না দিয়েই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।

এদিকে এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে দলীয় নাম ব্যবহার করে অভিযুক্তরা চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত। এতে সাধারণ ব্যবসায়ী ও সাধারণ বাসিন্দারা ভয় ও আতঙ্কে রয়েছেন।

সাধারণ ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন, "আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে।"

তবে হামলা ও ঘটনা সম্পর্কে জানতে বিএনপি দক্ষিণ জেলার সদস্য এস এম ফারুক ও বিএনপি দক্ষিণ জেলার সদস্য সচিব লায়ন হেলালের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ ঘটনায় স্থানীয়রা প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ কামনা করে তারা বলেন, “যদি দ্রুত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তাহলে এলাকার ব্যবসার পরিবেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।”

সিটিজি পোস্ট/এইসএস