সরকারি অর্থ আত্মসাত: ঈদগাঁও সমবায় কর্মকর্তাকে অর্থ ফেরতের নির্দেশ

সিটিজি পোস্ট প্রতিবেদক

কক্সবাজার প্রতিনিধি | সিটিজি পোস্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

সরকারি অর্থ আত্মসাত: ঈদগাঁও সমবায় কর্মকর্তাকে অর্থ ফেরতের নির্দেশ

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামকে আত্মসাতকৃত সরকারি অর্থ কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে পত্র জারি করেছেন জেলা সমবায় কর্মকর্তা। চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমবায় দপ্তরের স্মারক (৪৭,৬১,০০০০,০০০,২২১,২৭,০১৪৮,২৩.১৩৩১) তারিখ ২৬/০২/২০২৫—এর আলোকে এ নির্দেশ প্রদান করা হয়।

পত্রে উল্লেখ করা হয়, ২০২০–২০২৪ অর্থবছরে ঈদগাঁও উপজেলা সমবায় কার্যালয়ের কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক খাতে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। বরাদ্দের বিপরীতে ১টি ল্যাপটপ, ১টি ডেস্কটপ, ১টি প্রিন্টার ও ১টি ইউপিএস ক্রয়ের জন্য সর্বনিম্ন দরদাতাকে বিল পরিশোধ করা হলেও এসব যন্ত্রের বর্তমান বাজারদরের চেয়ে অতিরিক্ত বিল প্রদান করা হয়েছে, যা সরকারি অর্থ আত্মসাতের শামিল।

তদন্তকালে দেখা যায়, ক্রয়কৃত পণ্য স্টক রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ থাকলেও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নাম, মডেলসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অনুপস্থিত। এছাড়া অফিস প্রধান হিসেবে সমবায় কর্মকর্তার স্বাক্ষর এবং কোটেশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের দরপত্র–সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও অফিসে সংরক্ষণ করা হয়নি।

তদন্তে সরকারি দায়িত্ব অবহেলা এবং সরকারি অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ মিললে অতিরিক্ত ব্যয়িত অর্থ কোষাগারে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ২৪ নভেম্বর জেলা সমবায় কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল–এর স্বাক্ষরিত পত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

অভিযুক্ত কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি দাবি করেন, কিছু সমিতির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের শিকার তিনি। বিস্তারিত বিষয় তিনি সাক্ষাতে ব্যাখ্যা দেবেন বলে জানান।

জেলা সমবায় কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, “তদন্ত দলের সুপারিশের ভিত্তিতে পত্র জারি করা হয়েছে। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন মনে করলে অতিরিক্ত ব্যবস্থা নিতে পারেন।”

উল্লেখ্য, ঈদগাঁওয়ে যোগদানের পর থেকে ওই সমবায় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভুঁইফোড় সমিতিকে অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে রেজিস্ট্রেশন প্রদান, বিভিন্ন দিবস উদ্‌যাপনের নামে সমিতিগুলো থেকে চাঁদা আদায়, এবং এসব কার্যক্রম গণমাধ্যমকে পাশ কাটিয়ে সম্পন্ন করার অভিযোগ রয়েছে। এসব অনিয়মের কারণে সাধারণ মানুষ সমবায়–সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী ও সচেতন মহল। তারা দুর্নীতিগ্রস্ত এ কর্মকর্তার বদলির দাবি জানিয়েছেন।

ক্যাটাগরি:
কক্সবাজার