জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ভণ্ডুল করতে গোপালগঞ্জে সংঘটিত সাম্প্রতিক হামলার পেছনে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সভাপতি ও ৭পলাতক নেতা সাদ্দাম হোসেন ফেসবুক লাইভে এসে মাঠপর্যায়ের কর্মীদের সরাসরি হামলার নির্দেশ দেন। এ সংক্রান্ত একটি বিস্তৃত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দৈনিক যুগান্তর।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ভণ্ডুল করতে গোপালগঞ্জে সংঘটিত সাম্প্রতিক হামলার পেছনে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সভাপতি ও ৭পলাতক নেতা সাদ্দাম হোসেন ফেসবুক লাইভে এসে মাঠপর্যায়ের কর্মীদের সরাসরি হামলার নির্দেশ দেন। এ সংক্রান্ত একটি বিস্তৃত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দৈনিক যুগান্তর।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের নিষিদ্ধ ঘোষিত সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়াল এবং সভাপতি নিউটন মোল্লার কাছে শেখ হাসিনা পৃথক অডিও বার্তা পাঠান। বার্তাগুলোতে তিনি জানান, এনসিপি টুঙ্গিপাড়ায় তার পিতার কবর ভাঙার হুমকি দিয়েছে এবং এর আগে তারা ৩২ নম্বরের বাড়িও গুঁড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, “তোমরা বসে আছ কেন? যে যেভাবে পার প্রতিহত কর। গোপালগঞ্জে কোনোভাবেই যাতে ওরা ঢুকতে না পারে। মনে রাখবা, গোপালগঞ্জের মাটি থেকে ওদের কেউ যাতে অক্ষত অবস্থায় ফিরে যেতে না পারে।”
অন্য একটি অডিও বার্তায় শেখ হাসিনা নিউটন মোল্লাকে বলেন, “তোমরা ওখানে বসে কী কর। ওরা আশপাশের জেলা-উপজেলা থেকে লোকজন এনে গোপালগঞ্জে ঢোকার চেষ্টা করছে। যেভাবে পার প্রতিহত করতে হবে। টুঙ্গিপাড়ায় যদি ঢুকেও পড়ে, তাহলে একজনও যেন জীবিত অবস্থায় ফিরে যেতে না পারে।”
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনার টেলিফোন বার্তার পরদিন গোপালগঞ্জ পৌর পার্ক মাঠে এনসিপির কর্মসূচির দিনে, সকালে আতাউর রহমান পিয়ালের নেতৃত্বে স্থানীয় চর দুর্গাপুর এলাকায় পুলিশের গাড়িতে হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে স্পষ্ট হয় যে, আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনগুলো এনসিপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি রুখে দিতে সচেষ্ট ছিল।
পরবর্তীতে আতাউর রহমান পিয়ালের নেতৃত্বেই মোহাম্মদপাড়ায় এনসিপি নেতাদের গাড়িবহরে কয়েক দফা গুলি ও বোমা হামলা চালানো হয়। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা কেবল ছাত্রলীগ নয়, বরং আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের ফোন করে এনসিপির কর্মসূচি প্রতিহত করতে নির্দেশ দেন।
এই হামলার ক্ষেত্রে লন্ডনে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, কলকাতায় থাকা শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই ও গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কেন্দ্রীয় সদস্য ও শরীয়তপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান ও সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম কাজল- এরা সবাই যোগাযোগে ছিলেন এবং পরিকল্পনার সাথে যুক্ত ছিলেন।
এছাড়া ছাত্রলীগের পলাতক সভাপতি সাদ্দাম হোসেন কলকাতা থেকে ফেসবুক লাইভে এসে মাঠের কর্মীদের এনসিপির কর্মসূচিতে হামলার নির্দেশ দেন। একইভাবে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম কাজলের স্ত্রী ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ইয়াসমিন আলম স্থানীয় পর্যায়ে নারীদের সংগঠিত করেন।
এই সমন্বিত হামলার মাধ্যমে এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর একাধিকবার হামলা চালানো হয় এবং কর্মসূচি ভণ্ডুল করে দেওয়া হয়। এনসিপির দাবি, এটি ছিল রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় একটি সুপরিকল্পিত আক্রমণ।
সিটিজিপোস্ট/এমএইচডি
১৮ জুলাই, ২০২৫
বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় চালুর লক্ষ্যে সংস্থাটির সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে সরকার।জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের কার্যালয় (ইউএনএইচআরসি) শুক্রবার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার এবং বাংলাদেশ সরকার চলতি সপ্তাহে একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছে, য...
১৮ জুলাই, ২০২৫
১৮ জুলাই, ২০২৫
১৭ জুলাই, ২০২৫
১৭ জুলাই, ২০২৫
১৭ জুলাই, ২০২৫
১৮ জুলাই, ২০২৫
বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় চালুর লক্ষ্যে সংস্থাটির সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে সরকার।জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের কার্যালয় (ইউএনএইচআরসি) শুক্রবার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতিসংঘ...