চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলাকে বিভক্ত করে 'ফটিকছড়ি উত্তর' নামে নতুন উপজেলা গঠনের প্রাথমিক অনুমোদনের পর এবার এর সদর দপ্তর একটি 'যৌক্তিক স্থানে' স্থাপনের জোরালো দাবি জানিয়েছে হতে যাওয়া নতুন উপজেলার সর্বসাধারণ। এই দাবিতে আজ শুক্রবার (০৩ অক্টোবর) ফটিকছড়ি নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উত্তর ফটিকছড়ি নাগরিক ফোরামের আয়োজনে উপজেলার বাগানবাজার ও নারায়ণহাট ইউনিয়নের স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বক্তব্য রাখেন। অধ্যাপক হাসান মেহেদীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার অধ্যাপক ড. একেএম মফিজুল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘ আড়াই দশক ধরে উত্তর ফটিকছড়ির বিশাল জনবহুল এলাকার মানুষ প্রশাসনিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল। নতুন উপজেলা গঠনের সিদ্ধান্ত এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। তবে এই স্বপ্ন পুরোপুরি বাস্তবায়িত করতে হলে নবগঠিত উপজেলার প্রশাসনিক কেন্দ্রটি এমন একটি স্থানে করতে হবে, যেখানে ভূজপুর থানার আওতাধীন সকল ইউনিয়নের মানুষ সহজে যাতায়াত করতে পারে।
স্বাগত বক্তৃতায় উত্তর ফটিকছড়ি নাগরিক ফোরাম সদস্য সচিব এডভোকেট রাসেল আহমেদ ভুঁইয়া বলেন, নতুন উপজেলাকে এলাকার মানুষের অধিকার আদায়ের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, নতুন উপজেলা আমাদের দীর্ঘদিনের সংগ্রামকে আলোর পথ দেখাবে এবং যৌক্তিক স্থানে এর বাস্তবায়ন না হলে সেই সুবিধা থেকে এলাকার মানুষ বঞ্চিত হবে।
উত্তর ফটিকছড়ি নাগরিক ফোরামের আহবায়ক ওসমান গনি মজুমদার বলেন, এটিকে উত্তরের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার ফল হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, নতুন উপজেলা আমাদের দীর্ঘদিনের সংগ্রামকে আলোর পথ দেখাবে।
ঢাকাস্থ উত্তর ফটিকছড়ি সমিতির সভাপতি ও ফোরামের যুগ্ম আহবায়ক তৌহিদুল আলম চৌধুরী বলেন, আমরা উত্তরের মানুষ দীর্ঘদিন যাবৎ নানা সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলাম। যৌক্তিক স্থানে নতুন উপজেলা বাস্তবায়ন হলে আমাদের নানাবিধ কর্মকাণ্ডে আলোর পথ দেখাবে। আইনজীবী ইউছুপ আলম মাসুদ বলেন, উত্তরের মানুষ দীর্ঘদিন যাবৎ নানাভাবে বঞ্চিত ছিলাম। যৌক্তিক স্থানে নতুন উপজেলা বাস্তবায়ন হলে আমাদের নানাবিধ কর্মকাণ্ডে আলোর পথ দেখাবে। আমরা উচ্ছ্বসিত ও আনন্দিত।
বাগানবাজার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বলেন একরামুল হক বাবুল বলেন, প্রশাসনিক কাঠামো নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোকপাত করেন এবং নতুন উপজেলাকে এলাকার মানুষের অধিকার আদায়ের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেন।
বাগানবাজার ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আবুল কাশেম মেম্বার বলেন, উপজেলা সদর একটি সুবিধাজনক স্থানে করার দাবি জানিয়ে বলেন, এর ফলে প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষ প্রশাসনিক সুবিধা সহজে ভোগ করতে পারবে।
ফোরামের যুগ্ম আহবায়ক ও বাপেক্সের সাবেক এজিএম আবুল বাশার বলেন, ভৌগোলিক অবস্থান ও জনসংখ্যা বিবেচনা করে ভারত সীমান্ত ঘেঁষা এই অঞ্চলে নতুন উপজেলা হওয়াটা ছিল সময়ের দাবি। এখন সরকারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে দাঁতমারা, বাগানবাজার, নারায়ণহাটসহ ছয়টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই নতুন উপজেলার সদর দপ্তর স্থাপনের কার্যক্রম শুরু করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন আবুল বাসার, নাজমুল হোসেন ইউনুস, বেলাল হোসেন নয়ন, আবু বকর, জসিম উদ্দিন, মোঃ ওমাইর ইসলাম, মাওলানা নিজাম উদ্দীন, মাওলানা নাছির উদ্দীন ও মিনহাজুল আবেদীন।
সিটিজিপোস্ট/জাউ