প্রতারকরা ফেরিওয়ালার পোশাক পরিধান করে ব্যবসায়ীর কাছে গিয়ে জাল কোনো কাগজপত্র দেখিয়ে অর্থ আদায়ের প্রস্তাব দেয়। ভিকটিম ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত সৎকার্য বা নৌসংক্রান্ত দাবি শনাক্ত করতে না পেরে তাদের হাতে থাকা অর্থ তুলে দেয়। পরে বিষয়টি অনুধাবন করে ব্যবসায়ী থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে সন্দেহভাজন কিছু নথিপত্র ও নগদ অর্থ জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঘটনাস্থলীয় থানার ওসিবলেন,ভাইসির্কুস্ট্যান্সে গ্রেপ্তারকৃতদের নিকট থেকে কিছু অংশ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে ধৃতদের আটকের পর আরও তথ্য এসেছে, তাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে। দ্রুতই বিস্তারিত জানানো হবে। তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তাররা প্রত্যেকেই পূর্বে অনুচিত কাজে জড়িত থাকার তথ্য মিলেছেতবে তা তদন্তের পর নিশ্চিত করা হবে।

ভিকটিম ব্যবসায়ীবলেন, আমি তাদের ফেরিওয়ালা ভেবেই টাকা বের করেছি। পরে বুঝলাম আমাকে প্রতারণা করা হয়েছে। আমি পুলিশে অভিযোগ করার পর দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে; আশা করছি আমার টাকা ফেরত পেতে পারব। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয়দের সতর্ক থাকার আবেদন জানান।

স্থানীয়রা বলেন, ফেরিওয়ালার পোশাকে ছদ্মবেশ নিয়ে এমন প্রতারণার ঘটনায় পুরোনো সমস্যা জেগে উঠেছে নৌ-সম্পর্কিত সেবা পরিচালনায় নিয়মিত পরিচয়-প্রক্রিয়া এবং পারিচালকদের বৈধ কাগজপত্র যাচাই নিশ্চিত করা দরকার।

অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতিতে পুলিশ প্রতারিতদের নিরাপত্তা ও স্থানীয়দের আর্থ-সামাজিক ক্ষতি কমানোর লক্ষ্যে দ্রুত বিচারসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও জানিয়েছে। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং ধৃতদের বিরুদ্ধে মিথ্যা আচরণ, প্রতারণা ও সম্পত্তি হাতানোসহ প্রযোজ্য ধারায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।