গ্রিন টি ছাড়াও যে ৫টি হারবাল চা ওজন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর
নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
প্রকাশিত হয়েছে: ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ওজন কমানোর জন্য গ্রিন টি পরিচিত হলেও, হারবাল চায়ের জগতও সমানভাবে উপকারী। পিপারমিন্ট, হিবিসকাস, আদা–এর মতো ক্যাফেইনমুক্ত নানা ধরনের হারবাল চা ক্ষুধা কমাতে, হজম শক্তি বাড়াতে, মেটাবলিজম উন্নত করতে এবং মানসিক চাপজনিত খাওয়ার প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। একই সঙ্গে বৈচিত্র্যময় স্বাদ ও গুণ আপনাকে প্রতিদিনের একই রকম চা বা গ্রিন টির একঘেয়েমি থেকেও মুক্তি দেয়।
আদা চা
আদা শরীরের তাপমাত্রা ও মেটাবলিজম বাড়িয়ে ক্যালোরি পোড়াতে সহায়তা করে। প্রদাহ কমাতেও কার্যকর, যা ওজন বাড়া ও ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের সঙ্গে জড়িত। দিনের শুরুতে এক কাপ গরম আদা চা শরীরে শক্তি জোগায় ও স্বাভাবিকভাবে মেটাবলিজম উন্নত করে।
পিপারমিন্ট চা
তাজা ও সুগন্ধি এই চা প্রাকৃতিকভাবে ক্ষুধা কমায়। গবেষণায় দেখা গেছে, পিপারমিন্ট ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ ও হজম শক্তি বাড়াতে কার্যকর। ডায়েটিশিয়ান ডা. অর্চনা বাত্রা জানান, যাদের অযথা বারবার খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে বা খাবারের পর ভারি ভাব হয়, তাদের জন্য এটি বিশেষভাবে উপকারী।
দারুচিনি চা
দারুচিনি ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়িয়ে রক্তে শর্করার ওঠানামা নিয়ন্ত্রণ করে। এতে মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে, দারুচিনি চা ফ্যাট মাস ও কোমরের মাপ কমাতে সহায়তা করতে পারে। তবে অতিরিক্ত পান করলে রক্তক্ষরণ বা লিভারের সমস্যা হতে পারে, তাই সীমিত পরিমাণে পান করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
মৌরি চা
হালকা মিষ্টি স্বাদের মৌরি চা হজম শক্তি উন্নত করে ও পেটের ফাঁপা ভাব কমায়। একই সঙ্গে এটি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে, ফলে রাতের বেলা বা খাবারের মাঝখানে অযথা খাওয়ার প্রবণতা কমে।
হিবিসকাস চা
টক-মিষ্টি স্বাদের এই চা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ। এটি শরীরে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল কমায়, যা পেটের মেদ জমার একটি বড় কারণ। একই সঙ্গে হিবিসকাস হালকা ডিউরেটিক হিসেবে কাজ করে, শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে ফোলাভাব কমাতে সহায়তা করে।
.jpg&w=3840&q=75)



