অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে: মির্জা ফখরুল

সিটিজি পোস্ট প্রতিবেদক

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ৩১ অক্টোবর, ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে: মির্জা ফখরুল

দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি অভিযোগ করে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে এবং ঐকমত্যের প্রক্রিয়াকে নষ্ট করেছে।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব মন্তব্য করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে, তারা প্রায় এক বছর ধরে ঐকমত্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে। অনেক বিষয়ে আমরা একমত হয়েছিলাম, কিছু বিষয়ে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়েছিলাম। কিন্তু যখন সেই নথি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া হলো, তখন দেখা গেলো আমাদের মতবিরোধের অংশগুলো সেখানে উল্লেখ করা হয়নি।”

তিনি আরও বলেন, “সেদিন ১৭ তারিখে বৃষ্টি হচ্ছিল, আমরা ছাতা ধরে ঐকমত্যের নথিতে স্বাক্ষর করেছিলাম। কিন্তু সরকার সেই ‘ব্রিজ অব ট্রাস্ট’ ভেঙে দিয়েছে। জনগণের সঙ্গে তারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আমরা যে আস্থা ও বিশ্বাসযোগ্যতা আশা করেছিলাম, তারা তা রক্ষা করেনি।”

বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থার দায় সম্পূর্ণভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপরই বর্তায়। “জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে তারা। তাই আজকের সংকটের জন্য তারাই দায়ী,” বলেন তিনি।

গণভোট প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, “নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ এখন আর নেই। নির্বাচনের দিনই গণভোট হবে। দুটি ব্যালট থাকবে—একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য, আরেকটি গণভোটের জন্য।”

বিএনপির আদর্শ ও রাজনৈতিক অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিএনপি সবসময় সংস্কারের দল। ১৯৭৯ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একদলীয় শাসনের পরিবর্তে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিএনপি গঠন করেন। তিনি সব সংবাদপত্র পুনরায় চালু করেন এবং মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দেন।”

তিনি আরও বলেন, “রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার” সবকিছুর সূচনা করেছিলেন শহীদ জিয়া। পরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রেসিডেনশিয়াল ব্যবস্থা থেকে সংসদীয় পদ্ধতিতে ফিরে আসেন এবং কেয়ারটেকার সরকারব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেন, যার অধীনে চারটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।”

সিটিজিপোস্ট/জাউ

ক্যাটাগরি:
রাজনীতি